আসছে শীতের সবজি,বাজার চড়া

আসছে শীতের সবজি,বাজার চড়া

মামুন সরকার।।

শীত আসতে বাকি আরো কিছুদিন। তবেএরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছেশীতের সবজি। রাজধানীর বাজারগুলোতেওতাই চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি।আবার শাক খেতে পছন্দ করেন এমনক্রেতাকে ব্যয় করতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।তবে এক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তিতে আছেনআমিষভোজীরা। স্থিতিশীল রয়েছে মাছ ওমাংসের বাজার। গতকাল রাজধানীর বিভিন্নএলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।বাজারে প্রতি কেজি শিম কিনতে একজনক্রেতাকে গুনতে হয়েছে ১৬০ থেকে ২০০টাকা পর্যন্ত। আর মাঝারি আকারেরফুলকপির জন্য লাগছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো ওগাজরও। এ দুটি সবজি কিনতে ক্রেতাদেরকেজিতে ১০০ টাকার ওপরে ব্যয় করতেহচ্ছে। তবে করলা, পটোল, মুখিকচুসহ কিছুসবজি তুলনামূলক কম দামে কিনতেপারছেন ক্রেতারা।

এছাড়া ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০, চিচিঙ্গা৩০ থেকে ৪০, পটোল ৩০ থেকে ৪০, কাঁচাপেঁপে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ ওকাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৫থেকে ১০ টাকা করে কমেছে। এছাড়াআগের মতো ঢ্যাঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজিপাওয়া যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকাকেজিতে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তেশুরু করেছে। তাই আগামী কয়েক দিনেরমধ্যে শীতকালীন সবজির দাম সহনীয়পর্যায়ে আসবে। যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারেরসবজি বিক্রেতা আলম হোসেন জানান, তিনসপ্তাহ ধরে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে শিমসহঅনেক সবজি। অবশ্য আগের তুলনায়বাজারে সরবরাহ বেড়েছে।

এদিকে যেকোনো ধরনের শাক কিনতেইক্রেতাদের চড়া দাম দিতে হচ্ছে। তবেঅন্যান্য শাকের তুলনায় লাল শাকের দামএকটু বেশি। ছোট এক আঁটি লাল শাকেরজন্য ক্রেতাদের ২০ থেকে ৩০ টাকা গুনতেহচ্ছে। মুলা শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০টাকা আঁটি। ৫ থেকে ১০ টাকা আঁটি বিক্রিহচ্ছে কলমি শাক।

তবে দাম বেশি থাকলেও আগাম শীতেরসবজির জন্য অনেক ক্রেতাই বেশি টাকাব্যয় করতে খুব কার্পণ্য করছেন না। এবিষয়ে কথা হয় জুরাইন বাজারের ক্রেতারাশেদা আক্তারের সঙ্গে। বণিক বার্তাকেতিনি বলেন, বাজারে নতুন এসেছে তাই ৮০টাকা দিয়ে দুটি ফুলকপি কিনেছি। সাইজহিসেবে দাম অনেক বেশি। দুটি ফুলকপিদিয়ে কোনো রকমে একবেলার রান্না হবে।একবেলার এক সবজির দামই ৮০ টাকা! এটা নিশ্চয় কম না।

সবজির এমন চড়া বাজারের বিপরীতেক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে মাছ-মাংস। দামস্বাভাবিক রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানেঅপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরনের মাংসেরদাম। এমনকি কেজিতে ১০ টাকা কমেব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রিহচ্ছে ২১০ থেকে ২৪০ টাকার মধ্যে।সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০থেকে ২৩০ টাকায়। মুরগির পাশাপাশি দামঅপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের।গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। খাসির মাংসেরকেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজিইলিশ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।৮০০ গ্রাম আকারের প্রতি কেজি ইলিশ মাছবিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০টাকায়। এছাড়া রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০টাকা কেজি, বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ও পাবদা ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করাহচ্ছে।

বাজারে বড় চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজারটাকা কেজিতে। এছাড়া গলদা চিংড়ি ৭০০থেকে ৮০০ ও দেশী চিংড়ি ৪৫০ থেকে৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। কাতল৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙাশ ১৫০থেকে ১৭০, ছোট তেলাপিয়া ১৫০ থেকে১৬০ এবং বড় তেলাপিয়া মাছ ১৯০ থেকে২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা খোরশেদআলম বলেন, ইলিশের মৌসুম হওয়াসত্ত্বেও দাম কিছুটা বেশি। অন্যান্য মাছেরদাম খুব একটা বাড়েনি। পাঙাশ, তেলাপিয়াও রুই মাছের দাম তুলনামূলক ক্রয়ক্ষমতারমধ্যেই আছে।

আরো পড়ুনঃ