কুমিল্লায় আওয়ামীলীগকর্মীকে জবাই করে হত্যা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।

কুমিল্লায় মাদ্রাসা দখল, মাদকসেবনের ভিডিও প্রকাশসহ রাজনৈতিক বিরোধের জের প্রতিপক্ষ জামায়াত শিবির নেতা কাজী জহির গংরা কুপিয়ে জবাই করে এনামুল নামের আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন।
নিহত নাম মো:এনামুল হক (৩২)।আজ শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর সদর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচর এলাকায় মসজিদ থেকে ফেরার পথিমধ্যে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাভেল বলেন- জামায়াতশিবির নেতা কাজী জহিরগংরা দীর্ঘদিন ধরে দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকর্মী এলামুলের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি দখলের চেষ্টা করছে। গতকয়েকদিন আগে কাজী জহিরগংরা এলাকায় মাদক সেবনের আড্ডার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে। আর তাদের সাথেত রাজনৈতিক বিরোধত আছেই। মাদকের প্রতিবাদ করায় জুম্মার নামাজের পর কাজী জহিরসহ তারঁ দলের অনুসারীরা দা ছুরি নিয়ে অর্তকিতভাবে কুপিয়ে এনামুলের গলায় হাতেসহ পুরো শরীরের আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত এনামুলকে কুমিল্লা মেডিকেলে আনলে কর্তরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় মাহমুফ জানায়- কাজী জহিরের ছেলে আওলাদসহ কয়েকজন কাজি বাড়ী এলাকায় হামলা চালায়। এ ঘটনায় এনামুলের চাচাতো ভাইবোন দুজন কুমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বাদী হয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়ার্ধীন রয়েছে।
স্থানীয় এমএইচ ম‌নির ব‌লেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচরে আওয়ামী লীগ কর্মী এনামুল হককে জবাই করে হত্যা করেছে জামায়াত শিবির কর্মীরা।
এনামুল হক আলেখাচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের পুত্র ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান,শুক্রবার (১৮ মে) দুপুরে জুম্মার নামাজ থেকে এনামূল বের হলে জামায়াত শিবির কর্মী কাজী জহিরুল ইসলামের নেতৃত্ব তার ভাই কাজী আমানুল ইসলাম ও সাইদ মিলে এনামুলকে টেনেহিঁচড়ে মসজিদের সামনে শুয়াইয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে।মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিয়ে যান।শুক্রবার বিকাল৩ টার দিকে হাসপাতালে এনামুল মারা যায়।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল জানান, আওয়ামী লীগ কর্মী এনামুলের সাথে জামাত নেতা কাজী জহির গংদের রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি এনামুলের প্রতিষ্ঠিত আলেখাচর দক্ষিণ পাড়া জমিরিয়া তালিমুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ মাদ্রাসার সেক্রেটারি ছিল এনামুল। কাজী জহির গং দীর্ঘ দিন ধরে এ মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করতেছিল। এছাড়া বৃহস্পতিবার কাজী জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। এর জন্য এনামুল কে দায়ী করে। এতে কাজী জহির গং এনামুলের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার জুম্মা পরে বের হলে কাজী জহিরের উপস্থিতিতে তার ভাই আমানুল সহ জামাত শিবির কর্মীরা এনামুল এর গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে হাসপাতালে সে মারা যায়।
ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকারীরা এলাকা চেড়ে পালিয়েছে।কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কামরান হাসান জানান   হত্যার ঘটনা তদন্ত করে ঘটনার সাথে সম্পৃক্তকারিদের আইনের আওতা্য় আনা হবে।। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটক করবে পুলিশ।ঘটনাটি পূর্বশত্রুতার কারমে হয়ে থাকতে পারে।

আরো পড়ুনঃ