কুমিল্লায় চাষ হচ্ছে সৌদি আরবের মরু অঞ্চলের সাম্মাম ফল

কুমিল্লায় চাষ হচ্ছে সৌদি আরবের মরু অঞ্চলের সাম্মাম ফল

শাহ ইমরান।।

মরুর দেশের ফল। উপরটা ধূসর ভিতরটা হলুদ।ঘ্রাণ বাঙ্গির মতো।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুরে প্রথমবারের মতো চাষ করা হয়েছে সাম্মাম। বলরামপুর গ্রামের কাজী আনোয়ার হোসেন এই ফল চাষ করেছেন।

সাম্মাম ফল ক্রয় করতে ও দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। নেটে বাধা রয়েছে ছোট বড় সাম্মাম। বাতাসে দোলছে সারি সারি সাম্মাম।প্রতিদিন সাম্মাম কিনতে ও দেখতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।

কোনটির ওজন ২কেজি, ৩কেজির বেশি। চারপাশ জুড়ে পাকা সাম্মামের ঘ্রাণ ছড়িয়ে আছে। ক্ষেতের পাশ্বে ভিড় করেছেন শহর ও গ্রামের ক্রেতারা।

নগরীর কান্দিরপাড়ের বাবু সালাম বলেন অনলাইনে সাম্মাম দেখেছি। তাই আমি এই ফলটি কিনতে আসছি। সাম্মাম ফলটি প্রতি কেজি ২০০ টাকা হলে ক্রেতাদের জন্য দাম বেশি হয়ে যায়। এই ফল দেখতে সুন্দর এবং খেতেও বেশ মিষ্টি।

কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন,আমি সাম্মামের বীজ সংগ্রহ করি ঢাকা থেকে। বীজ সংগ্রহ করার পর তিন ঘন্টা কাপড় দিয়ে পেচিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়।তারপর খড় বা গরম স্থানে রাখতে হয়।

তারপর বীজে ঘেরা আসে এরপরেই বপন করতে হয়।গাছটা একটু বড় হওয়ার পর চারপাশের আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হয় এবং মাকড়সা ও ছত্রাকনাশক কীটনাশক দিতে হয়।প্রয়োজনীয় পরিচর্চা করার পর ফল আসতে প্রায় ৮০ দিন সময় লাগে।

সাম্মাম দেখতে ধূসর রঙের হলেও এটির ভিতরে হলুদ ও স্বাদে বাঙ্গির মত মিষ্টি। আমি ৪০ শতক জমিতে সাম্মাম চাষ করেছি। আমার এক লাখ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এখন আমি ফল বিক্রি শুরু করেছি। প্রতি কেজি ২০০ টাকা করে বিক্রি করবো। আমি আশা করছি তিন লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটি মরুর অঞ্চলের ফল। সেখানে এটিকে সাম্মাম বলে। এটিকে কেউ রকমেলন বা সুইটমেলনও বলে। সাম্মামে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন রয়েছে।

এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার প্রভৃতি। তিনি আরো বলেন, সাম্মাম চাষ কুমিল্লায় প্রথম। আনোয়ার হোসেন উদ্যোমী চাষি। এর আগেও তিনি কালো ও হলুদ তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন।

আরো পড়ুনঃ