কুমিল্লায় ভূমি দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে উল্টো মামলায় ফাসানোর অভিযোগ।
পথিকৃত ডেস্ক।।
কুমিল্লা সদরের বালুতুপায় জমি দখল করতে না পারায় আক্রোশের জেরে আম গাছ কেটে, গৃহ নির্মাণের মালামাল লুট করে নিয়ে চাচাতো ভাই-বোনদের উল্টো মামলায় ফাসালেন আপন চাচাতো ভাই।
হুমকি-ধমকি ও মিথ্যা সাজানো মামলায় ফাসানোর অভিযোগে বুধবার বিকাল ৫টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন,
একটি অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত, উদ্দেশ্য প্রনোদিত, হয়রানিমূলক ও বানোয়াট সাজানো ঘটনার শিকার হয়ে আপনাদের দাড়স্থ হয়েছি একটু সহযোগিতা পাওয়ার আশায়। আমি জোহরা আক্তার বকুল স্বামী: মৃত জামাল হক, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বালুতুপা হাজী বাড়ির বাসিন্দা। আমার স্বামীর পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ভূমি যা ১৯৯৪ সালে আমার বড় ছেলে জয়নাল আবেদীন হোসেনের নামে দানপত্র রেজিষ্ট্রি করে দেয়, এ জমি নিয়ে পূর্ব আক্রোশের জেরে গত ২৪/০৫/২০২১ইং তারিখে সকাল ৯টায় আমার স্বামীর বসত ভিটায় আমার প্রতিবেশী আমার স্বামীর ভাতিজা (বড় ভাইয়ের ছেলে) আবদুর রহমান ফারুক ও তার ছোট ভাই আবদুর রাজ্জাক মাসুক হঠাৎ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের কিছু আমগাছ কেটে ফেলে। আমাদের গৃহ নির্মাণের জন্য আনা ৬ হাজার ইট, আড়াই টন রড যার বাজার মূল্য ২,২৬,৫০০/= (দুই লক্ষ ছাব্বিশ হাজার পাচঁশত) টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময়ে আমরা বাধা দিলে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এগিয়ে আসে। তখন কাটা আমগাছের ডাল পরে আবদুর রহমান ফারুকের মাথায় আঘাত পায়। পরবর্তীতে এ ঘটনাকে উল্টোভাবে উল্লেখ করে আবদুর রহমান ফারুকের ১ম স্ত্রী দিলারা আলো কেয়া (৪৮) উল্লেখিত ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও বাদী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে যার মামলা নং-৮৩/৪৬২ তারিখ: ২৫/০৫/২০২১ইং। এখানে আপনাদের অবগতির জন্য একটি বিষয় জানিয়ে রাখি আমার স্বামীর আরেক ভাতিজা আবদুর রহমান ফারুকের আপন ভাই একজন বাংলাদেশ পুলিশের এস আই আবদুল আউয়াল আশেক, এবং তার ভাই আবদুল মতিন তারেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী করে, তার আরেকজন ছোট ভাই আবদুর রউফ মোস্তাক বাংলাদেশ পুলিশের কন্সটেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। যার ফলশ্রুতিতে তাদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার ছেলে-মেয়ে এবং ছেলের বউদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে। এবং এ ঘটনায় তারা সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে দেখিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ২০০৮ সালে কুমিল্লার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করি। সে অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে চেয়ারম্যান অফিসে বসার আহ্বান জানালেও তাতে তাড়া কোনপ্রকার সাড়া দেয়নি এবং কাউকে কানরকম তোয়াক্কা করেনা বলে বিভিন্ন লোক মাধ্যমে সাফ জানিয়ে দেয়। তারপর ২০১৪ সালে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দেয়া ও হামলার আশংকায় এবং আমাদের ঘর-বাড়ি দখল করার উদ্দেশ্যের জন্য আমার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় আবদুর রহমান ফারুকগং এর বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। তবে এসকল ঘটনার পর আমরা কোনভাবেই আইনি কোন সহযোগিতা পাইনি ও অদ্যবধি পাচ্ছিনা। কেননা তাদের পরিবারের ৩জনই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। আমরা কোন আইনি পদক্ষেপ নিতে গেলেই তারা বিভিন্নভাবে তদবীর তদারকি করে উল্টো আমাদেরকে হয়রানী করায়। আমাদের বর্তমানে বাড়ি-ঘর থেকে বিতাড়িত করে রেখেছে। প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছে আমাদেরকে আরো মিথ্যা মামলা দিয়ে বসত ভিটা বিক্রি করিয়ে এলাকা ছাড়া করবে।
আমরা সর্বক্ষণ জীবননাশের হুমকির মুকে আছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কুমিল্লা সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার মহোদয় এবং কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমাদের জানমালের নিরাপত্তাদানে সহযোগীতা করার জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের ৪সদস্য এবং প্রতিবেশীরাও উপস্থিত ছিলেন।