কুমিল্লা নগরীর প্রবেশ পথেই ভাঙা সড়কের ভয়,সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ যাওয়া আসা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা মহানগরীর অন্যতম প্রবেশপথ শাসনগাছা আলেখারচর সড়কে বড় গর্ত।
স্থানীয় লোকজন জানান, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ নগরীতে যাওয়া-আসা করেন।
আলেখারচর মেডিসিন মার্কেট-সংলগ্ন সড়কটির দুই পাশে ড্রেন ছিল। তবে অবৈধ দখলের কারণে এখন আর ড্রেন নেই। যার ফলে ড্রেনের পানি রাস্তায় জমে।
অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে পড়িমরি করে কোনো রকমে ভাঙা গর্ত পার হন চালক সামছুদ্দিন।
যাত্রীরাও যেন হাফ ছেড়ে বাঁচেন। এ সড়কে চলতে গেলে প্রতিদিনই সামছুদ্দিনকে ভয়ে থাকতে হয়,কখন না অটোরিকশা পড়ে যায়, আহত হন যাত্রীরা।
এই সড়কটি কুমিল্লা মহানগরীর অন্যতম প্রবেশপথ শাসনগাছার আলেখারচরে।
সড়কটির মেডিসিন মার্কেটের সামনে অন্তত ৩০০ মিটার ভাঙা আর বড় গর্ত। তার মধ্যে হাঁটু সমান গর্ত ৩০ ফুট রাস্তায়। বৃষ্টি হলেই পানি জমে খালের মতো হয়ে যায়।
সামছুদ্দিন বলেন,আইজ বছর দেড়েক এই রাস্তাডা ঠিক অয় না। কারে কইলে রাস্তাডা ঠিক কইরা দিব, কও একবার।
আমডা হগ্গল ডাইবার (ড্রাইভার) গিয়া হেই অফিসাররে কই।’
স্থানীয় লোকজন জানান, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩০ হাজার মানুষের চলাচল।
তারা জানান, আলেখারচর মেডিসিন মার্কেট-সংলগ্ন সড়কটির দুই পাশে ড্রেন ছিল। তবে অবৈধ দখলের কারণে এখন আর ড্রেন নেই। যার ফলে ড্রেনের পানি রাস্তায় জমে।
এতে সড়কের পিচ, খোয়া উঠে গিয়ে বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। সড়কটির উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও একই অবস্থা।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বছর দেড়েক ধরে সংস্কার নেই। আর কবে সংস্কার হবে তাও জানেন না তারা।
সরেজমিনে সোমবার সকালে দেখা যায়, শাসনগাছা থেকে আলেখারচর সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পানি জমে আছে। পিচ ও খোয়া উঠে এবড়োথেবড়ো হয়ে আছে।
নগরীর বিভিন্ন হসপিটাল থেকে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করেন অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. শরিফ। তিনি বলেন, কুমিল্লা থাইক্কা ঢাকা আর ঢাকা থাইক্কা কুমিল্লা- এই জায়গাডার মতো খারাফ রাস্তা আর নাই। কবে ধইরা রাস্তাডা এরুম, কেউ ঠিক কইরা দেয় না।
নগরীর রাজগঞ্জ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ বলেন, প্রতিদিন নিমসার বাজার থাইক্কা তরকারি আনি। এই জায়গায় আইলেই টেনশনে থাহি। ভ্যানগাড়িডা উল্ডাইয়া নিয়ে তরকারিডি পানিত পইরা যায়।
কুমিল্লা সতেচন নাগরিক কমিটির সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন,গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি যদি দীর্ঘদিন সংস্কারহীন থাকে তাহলে তার দায়ভার কখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ অচিরেই সড়কটি সংস্কারে এগিয়ে আসবেন৷
কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজা ই রাব্বি বলেন, সড়কটি দুই পাশে স্থাপনা হওয়ার কারণে সড়কে পানি জমে খোয়া-পিচ উঠে গিয়ে বড় গর্তে পরিণত হয়েছে।
আমরা এখন ইট দিয়ে সাময়িক সংস্কার করছি। তবে সমস্যাটি স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। আশা করছি, খুব দ্রুতই সমাধান হবে।