কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সামনে আবর্জনার স্তূপ।
সাব্বির হোসেন।।
কুমিল্লা জেলার মানুষের চিকিৎসার শেষ আশ্রয়স্থল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যে হাসপাতালটিতে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু হাসপাতালটির প্রধান ফটকের সামনে জমে রয়েছে ময়লার স্তূপ। কয়েক দিন ধরে ময়লা না নেওয়ায় সেখানে ভাগাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে হাসপাতালসহ আশপাশের এলাকায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ময়লার স্তূপের পাশ দিয়েই নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করছেন চিকিৎসক, নার্সসহ রোগী ও তাদের স্বজনরা। ময়লার মধ্যে কুকুর, বিড়াল, কাক, শালিকসহ পশুপাখি বিচরণ করছে। এসব পশুপাখি ময়লাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলছে। ময়লার মধ্যে মশা-মাছিরও বিস্তার হচ্ছে। আর এগুলোর মাধ্যমে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে হাসপাতালে আসা রোগীদের।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগী মনু মিঞা জানান, আমি এখানে জ্বরের চিকিৎসা নিতে এসেছিলাম। কিন্তু হাসপাতালে আসা-যাওয়ার পথে একেবারে প্রধান ফটকে ময়লা রাখার ফলে এখান দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। এখানে এলে রোগীদের রোগ সারার বদলে আরও বেড়ে যাবে।
রোগীর স্বজন ফারুক আহমেদ জানান, এখানে ময়লা আর দুর্গন্ধে এমন অবস্থা যে মনে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া আর চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবে না। দ্রুত এখান থেকে ময়লা সরানোর পাশাপাশি এখানে আর যেন ময়লা ফেলা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত কর্তৃপক্ষের।
শহরের ঝাউতলা এলাকার কাজল দেবনাথ জানান, আমরা প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। দুর্গন্ধ শুধু হাসপাতাল এলাকায় নয়, আশপাশের অনেক বাসাবাড়িতে ছড়াচ্ছে।
হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, আমাদের সারাদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা দিতে হয়। তাই এ ফটক দিয়ে চলাচল করার সময় মুখে রুমাল দিয়ে আসতে হয়।
দ্রুত যদি ময়লা অপসারণ করা না হয়, তা হলে এখান থেকে যে কোনো ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে। কুমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোস্তফা কামাল আজাদ জানান, ময়লার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ বিষয়ে আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এরই মধ্যে কথা বলেছি। তারা দ্রুত ময়লা সরিয়ে নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।