নির্বাচনী বছরে কী ঘটছে বাংলাদেশে

 

ডেস্ক নিউজ।

গত এক দশকের বেশির ভাগ সময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ শীর্ষ স্থানীয় হয়ে উঠেছে। অস্থির এ অঞ্চলে দ্রুত উন্নয়নের এক আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশ। বিস্তৃত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ব্যবস্থাপনাযোগ্য নিরাপদ পরিবেশ এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এই সফলতাকে বেগবান করেছে। যাই হোক, এই সফলতা এসেছে ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্বপরায়ণতা, রাজনৈতিক বিরোধী এবং নাগরিক সমাজকে নিষ্পেষণের বিনিময়ে। আর এসেছে রপ্তানি করা তৈরি পোশাকের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতার কারণে। ২০২২ সালের মধ্যভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘এডিফিসে’ ফাটল দৃশ্যমান হওয়া শুরু হয়েছে। তার শাসনের ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমেই প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যে সংকট সৃষ্টি হয় তার জন্য ২০২২ সালের জুলাই মাসে ‘ব্যালেন্স অব পেমেন্ট’ হিসেবে ঋণ পেতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের কৃচ্ছ্রসাধনে গৃহীত পদক্ষেপের জবাবে সারা দেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে আছে জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দেয়া, ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, জ্বালানি মূল্য বাড়িয়ে দেয়া।

 

এসব করা হয় রাজস্ব বাড়ানোর জন্য। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক বিরোধীরা এটাকে পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ হিসেবে বেছে নেয়। অক্টোবর থেকে তারা সারা দেশে বিশাল গণজমায়েত ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। এসব প্রতিবাদে আকৃষ্ট হয়ে যোগ দেন হাজার হাজার মানুষ। তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন। ১৪ বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতায় আছেন শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালে যে নির্বাচন হওয়ার কথা তার আগে তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন বলে মনে হয় না। কিন্তু তার অপরাজেয় যে ভাবমূর্তি আছে, তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

মানবিক লীগ?

সামনের মাসগুলোকে সামনে রেখে বিএনপি যখন প্রতিবাদ বিক্ষোভের মাধ্যমে চাপ দিচ্ছে, তখন সেই প্রতিবাদের প্রতি শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়া সামনের নির্বাচনের স্বরূপ নির্ধারণ করবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি মেনে নেয়ার কোনো লক্ষণ দেখাননি শেখ হাসিনা। বিক্ষোভকারীদের দাবি অগ্রাহ্য করা, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালানো, ক্রমবর্ধমান নজরদারি এবং সেন্সরশিপ এবং আওয়ামী লীগের পাল্টা বিক্ষোভ, যা মাঝে মধ্যেই বিএনপি’র সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসব প্রচলিত কৌশল এখনো বিদ্যমান। এসব পরিস্থিতিতে ক্রমশ নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে এবং নির্বাচনী বছরে সামনে সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরপরে যে বিষয়টি আসে তা অপেক্ষাকৃত কম স্পষ্ট। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিশাল আকারে রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা দিতে পারে। তার ফলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম একটি নতুন সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। যদিও স্বচ্ছ নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, তবুও অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে সরকারের অক্ষমতায় সমন্বিত প্রতিবাদ এবং পর্যাপ্ত আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে।

শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার সময়টা ক্ষমতা

কেন্দ্রীভূতকরণ এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করার অনুশীলনের। এই অবস্থা ব্যবসার পরিবেশকে রূপ দিয়েছে। রাজনীতির কেন্দ্রীয় মঞ্চ থেকে শেখ হাসিনার প্রস্থান একটি টেকটোনিক পরিবর্তন হিসেবে প্রমাণিত হবে। এর ফলে ২০০৯ সাল থেকে যে সিস্টেম সতর্কতার সঙ্গে শেখ হাসিনা গড়ে গেছেন, তা পাল্টে ফেলা হতে পারে। তার এই সিস্টেম বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সফলতার মূলে রয়েছে। যদি তার বিরোধীরা ২০২৪ সালে ক্ষমতা পায়, তারা এমন একটি ব্যুরোক্রেসি পাবে, যা কার্যত আওয়ামী লীগের প্রশাসনিক শাখা এবং সংগঠনে পরিণত হয়েছে। শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতার জন্য তাদের প্রাধান্য রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের অর্থ হবে এই বিদ্যমান ব্যবস্থায় রাজনৈতিক তথ্য এক্সপোজার, দেশে কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলোর জন্য কন্ট্রাক্ট এবং ব্যবসা করার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

ভঙ্গুর শান্তি

বাংলাদেশের ফলপ্রদ নিরাপত্তা পরিবেশের সঙ্গে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের সম্পর্ক আছে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ঢাকার কূটনৈতিক অঞ্চলে একটি বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ১৭ বিদেশি। ওই হামলার পর থেকে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তখন থেকে দৃঢ় শারীরিক নজরদারি, ব্যাপক গ্রেপ্তার এবং সন্ত্রাসীদের হত্যার ফলে দেশে সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়েছে। শেখ হাসিনা দৃঢ় ও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সন্ত্রাস মোকাবিলা করেছেন। যা ২০০০-এর দশকের প্রথমদিকে পূর্ববর্তী বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী জোট সরকারের থেকে অনেকটাই আলাদা ছিল। তারপরও সন্দেহজনক মিলিট্যান্টদের বিরুদ্ধে নিয়মিত গ্রেপ্তারি এটাই ইঙ্গিত দেয় যে, এখনো দেশে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো সক্রিয় রয়েছে। সম্ভবত তারা সময় পার করছে এবং প্রপাগান্ডা এবং সদস্য সংগ্রহের দিকে মনোনিবেশ করেছে। সরকারের উত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অনলাইনে উগ্রপন্থিরা সদস্য সংগ্রহে আরও চেষ্টা করে থাকতে পারে। এ অবস্থায় স্বঘোষিত উগ্রপন্থি যুবকরা অথবা তাদের স্লিপার সেলের ছোটখাটো হামলা চালানোর হুমকি উড়িয়ে দেয়া যায় না। চরমপন্থি গ্রুপগুলোর এখন আর বড় আকারে হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে শীর্ষে রেখে অথবা নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এই পরিস্থিতিকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। ২০২৪ সালের নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসীদের পুনরুত্থান সরকারি স্থাপনা, কৌশলগত সম্পদ, উপাসনালয়, রেস্তরাঁ, শপিং মল এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেসগুলোতে হামলার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদিও ব্যবসায়িক অথবা বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সগুলো সুনির্দিষ্টভাবে হামলার লক্ষ্যবস্তু নাও হতে পারে, তবু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হুমকি থাকবে।

পোশাক বিভ্রাট

এই রাজনৈতিক অস্থিরতায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দূরবস্থার কোনো দ্রুত সমাধান নেই। এ বছর জানুয়ারিতে আইএমএফ যে ঋণ অনুমোদন দিয়েছে তা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মিরাকল নয়। বাংলাদেশের ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কঠিন বাহ্যিক পরিবেশের চাপে থাকবে। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগই হলো তৈরি পোশাক রপ্তানি এবং তা এ দেশের মোট জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা ১০ ভাগ। ২০২৩ সালের বেশির ভাগ সময় এই তৈরি পোশাক রপ্তানিতে অনিশ্চয়তা থাকতে পারে। কারণ, মুদ্রাস্ফীতির ফলে সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে আয় কমে গেছে।

জনপ্রিয় নয় এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হতে পারে সরকার। যেমন জ্বালানিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে পারে। বাসাবাড়িতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারে ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে পারে। এসব করা হলে গণঅসন্তোষ আরও বাড়িয়ে দেবে। ফল হিসেবে এতে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটবে। বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যাসের খুচরা দাম অব্যাহতভাবে বাড়িয়ে দেয়ার ফলে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক পরিচালনা খরচ বৃদ্ধি পাবে। ঢাকা যখন বৈশ্বিক মার্কেট থেকে ধীরে ধীরে তেল আমদানি শুরুর কথা বিবেচনা করছে, তবে তাদের ভবিষ্যৎ ক্রয় পরিকল্পনা জ্বালানির চাহিদা মেটাতে পারবে বলে মনে হয় না। বিশেষ করে গ্রীষ্মের চরম গরমের সময়। এ সময়ে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থাকে অপর্যাপ্ত। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং বিতরণের অবকাঠামোগুলো এখনো দুর্বল। এর ফলে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড অব্যাহতভাবে বিঘিœত হবে। শেষ পর্যন্ত আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী রাজস্ব বাড়াতে আয়কর সংগ্রহে সরকার আরও কঠোর হতে পারে। কোম্পানিগুলোর ওপর স্ক্রটিনি বাড়ানো হবে।

২০২৪ সালের পরে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক, তাদের জন্যই ব্যবসায় পরিবেশ থাকবে চ্যালেঞ্জিং। এইসব জটিলতার মধ্যে কিছু দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা আছে। করোনা মহামারি এবং ‘ব্যালেন্স অব পেমেন্ট’ সংকট দেশে অর্থনীতিতে জরুরিভাবে বৈচিত্র্য এনে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দল নেতৃত্বাধীন সরকার অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি, চামড়া, অটো পার্টস এবং আইসটি পণ্যের মতো খাতে বৃহত্তর বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজবে। এমন সুযোগ সত্ত্বেও, রেজ্যুলেশন শিথিল এবং ব্যবসায় পরিবেশকে উন্নত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নির্ধারণ করবে। বর্তমানে এই রেকর্ড খুবই দুর্বল।

হাসিনা দ্য লাইট…
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কী ঘটছে? শেখ হাসিনা কি রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে সরে যাবেন? পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অস্পষ্ট। বিএনপিতে এরই মধ্যে দৃশ্যত প্রজন্মগত নেতৃত্ব পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। তার মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছ থেকে কার্যত এই দায়িত্ব নেবেন তার ছেলে তারেক রহমান। তারেক রহমান নেতৃত্বাধীন বিএনপি হতে পারে অধিক পরিমাণে পশ্চিমা স্বার্থপন্থি। বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে পারে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে। এখন দেখার বাকি, দ্বিতীয় পর্যায়ের বিএনপি বা বিএনপি ২.০ সরকার তাদের আগের সরকার থেকে কতোটা ভিন্ন হয়। অন্যদিকে এখনো উত্তরাধিকার পরিকল্পনা পরিষ্কার করেননি শেখ হাসিনা। তার আত্মীয়রা, ব্যাপকভাবে তার উত্তরাধিকারীকে দেখা হয়, দলের মধ্যে, ব্যাপকভাবে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে- যেমন নিরাপত্তা বিষয়ক এস্টাবলিশমেন্টে জনপ্রিয়তায় ঘাটতি আছে। রাজনীতির মঞ্চে নিকটজন থাকলে তাতে পলিসি অব্যাহত রাখার একটু সযোগ সৃষ্টি হয়। তবে তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ায় ঘাটতি এবং তুলনামূলক দুর্বল নেতৃত্ব আরও বড় অস্থিতিশীল ঝুঁকি হয়ে দেখা দিতে পারে। ফল হিসেবে তাতে ব্যবসায় পরিবেশে বড় রকমের প্রভাব ফেলতে পারে।
কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপটের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করা উচিত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের দ্বিতীয় স্তরের সঙ্গে জড়িত হওয়ার জন্য বৃহত্তর বিনিয়োগ আবশ্যক হওয়া উচিত। একইভাবে বিএনপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল উন্মুক্ত করা উচিত ব্যবসায়ীদের। যাই হোক, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে। এ বিষয়টির ফলে কোম্পানিগুলোকে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে বিচক্ষণ হতে হবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যবসায়িক অংশীদারদের রাজনৈতিক ঝুঁকি কমানোর জন্য বিএনপি’র নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করা উচিত। তা সত্ত্বেও, বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব রকম ঝুঁকি এবং রাজনৈতিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে করা উচিত। সুনির্দিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বিবেচনা করা দরকার। এর ফলে দেশে তাদের পরিচালনা কর্মকাণ্ডকে খর্ব করে।

(লেখক নয়াদিল্লিভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ১০ বছর ধরে তিনি ভারতের পররাষ্ট্রনীতি, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করছেন। তিনি আলেকজান্দার ভন হামবোল্ডট ফাউন্ডেশনের সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর ফেলো। তার এ লেখাটি অনলাইন কন্ট্রোলরিস্ক থেকে অনুবাদ)।সূত্র মানবজমিন

আরো পড়ুনঃ