পরনের কাপড় ছাড়া পুড়ে গেল সব, খোলা আকাশের নিচে একটি নি:স্ব পরিবার

পরনের কাপড় ছাড়া পুড়ে গেল সব, খোলা আকাশের নিচে একটি নি:স্ব পরিবার

রায়হান চৌধুরী।।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি পরিবারের বসতবাড়িসহ মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে। ওই পরিবারের সদস্যরা এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

শনিবার (৭ জুলাই) সকালে উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শফিকুল ইসলামের চৌচালা ঘরটি আগুনে পুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ঘরের সব আসবাবপত্র, চাউল, পোশাকসহ ঘরে থাকা সবকিছুই পুড়ে ছাই। বাঁচার কোনো উপায়ন্তর খুঁজে পাচ্ছে না পরিবারটি। কান্না আর হতাশা দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে। জানা গেল, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই পুরো ঘর পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।

মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার এস.এম শামীম জানান, সকালে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পূর্বে স্থানীয়রা এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে শফিকুল ইসলামের বসতঘরসহ মালামাল ভষ্মিভূত হয়েছে। প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বিদ‍্যুৎতের সর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যদের পরনে থাকা কাপড় ছাড়া সবকিছুই পুড়ে গেছে। একটি ঘর, আসবাবপত্র, কাপড়, মুরগি, ধান ও নগদ প্রায় সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পুড়ে গেছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। সবাই এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।

নবীপুর পূর্ব ইউপি’র সদস‍্য জালাল হোসেন বলেন, ‘আগুন লাগার পর আমরা এসে নেভানোর চেষ্টা করি। আগুন বেশি থাকায় কাছে যেতে পারিনি। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়নি।’ এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলেও জানান তিনি।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ‍্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

আরো পড়ুনঃ