লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে কুমিল্লার অংশ ফাঁকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে কুমিল্লার অংশ ফাঁকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

নেকবর হোসেন।।

সারাদেশে সাত দিনব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দেশব্যাপী এ লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সরকার নির্দেশিত কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (২ জুলাই) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশ ছিল ফাঁকা। জরুরি সেবার আওতাভুক্ত কিছু যানবাহন ছাড়া তেমন কোনো পরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। ব্যস্ততম এ সড়কে অন্যান্য দিনের মতো ছিল না ঘরমুখো মানুষের চাপ।

 

এদিন সকাল থেকেই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মহাসড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার অংশে দাউদকান্দি, চান্দিনা, আলেখাচর বিশ্বরোড ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, কোটবাড়ি বিশ্বরোড ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ঘুরে পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি গুটিকয়েক রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা যায়। কেউ নিয়ম না মানলেই তাদের শাস্তির আওতায় আনতে মহাসড়কে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ গোমতী টাইমসকে জানান, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সকাল থেকে সড়কে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মহাসড়কের কুমিল্লা ১০৫ কিলোমিটার অংশে চারটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া চলাচল করা প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস আটকে দেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান  বলেন, ‘কুমিল্লায় লকডাউন বাস্তবায়নে ১৭ উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৪৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং সেনাবাহিনীর, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারবাহিনীসহ মোট ৬৭টি টিম কাজ করছে। বিনা প্রয়োজনে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ