আব্দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সকল হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরদের নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর এক জরুরি সভায় বৈধ শিক্ষার্থীরা শুধু হলে অবস্থান করতে পারবে, গনরুম বন্ধ করা সহ মোট আটটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সভাপতিত্বে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে মঙ্গলবার(১২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত সিদ্ধান্তগুলো হলো, ‘শুধুমাত্র নিয়মিত ও বৈধ শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবে। সকল হলের সৌন্দর্য বর্ধণ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। গেস্টরুম /গণরুম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। হলে একক কক্ষ নিয়ে কোন শিক্ষার্থী বসবাস করতে পারবে না।
এছাড়াও যাদের ছাত্রত্ব নেই তারা হলে অবস্থান করতে পারবে না। হলে সিট বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী হবে। স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর হলসমূহে প্রেরণ করবেন। হলে কোন সমস্যা দেখা দিলে হল প্রশাসন সমাধানের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবেন।
হলের সীট বরাদ্দের নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল ভৌমিক বলেন, ‘প্রত্যেক হলের সীট বরাদ্দের নীতিমালা করা হয়েছে। অতিশীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করা হবে। ‘
অবৈধ শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন না তাহলে নতুন ১৭ ব্যাচের যে শিক্ষার্থীরা হলে উঠেছে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ‘তাদের তো এখনো বরাদ্ধ এলোটমেন্ট হয় নাই। বরাদ্ধ না পাওয়া পর্যন্ত তারা হলে থাকতে পারবে না। আমার হলের নতুন শিক্ষার্থীদেরকে আমি ওয়ার্নিং দিয়ে আসছি। তাদেরকে বলছি, আপনাদের বের হয়ে যেতে হবে। কারন তারা তো জানেনই না তাদের কোন কোন হলে বরাদ্ধ। সুতরাং এই মুহূর্তে তাদের হলে থাকার কোনো সুযোগ নাই।’
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার বলেন, উপাচার্য স্যার যা নির্দেশ দিয়েছে সেটা একজন হল প্রভোস্ট হিসেবে অবশ্যই প্রয়োগ করবো। ইতোমধ্যে আমি হল মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো অবগত করেছি।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কল্যাণই আমার লক্ষ্য। একজন শিক্ষার্থী গনরুমে থাকার ফলে সে নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে থাকবে। ফলে বড় কিছু করার কনফিডেন্স পাবে না। এছাড়া অপরিষ্কার থাকলে সবাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।