মহানগর প্রতিনিধি।। কুমিল্লায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক অসহায় পরিবারের উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর উপজেলার কাপ্তান বাজার (ইসলামপুর) এলাকায় এই ঘটনায় আহত হয়েছে এক নারী। এছাড়াও বৃদ্ধ ও শিশুদের গায়েও হাত তুলেছে সন্ত্রাসীরা। এবিষয়ে রাতে কুমিল্লা কতোয়ালী মডেল থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী কুমিল্লা আদালত সংলগ্ন কাপ্তানবাজার ইসলামপুর এলাকার আব্দুর রশিদ ভ’ইয়া ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন(৩৬) জানায়, ১৪ এপ্রিল দুপুরে মামুন তার বাড়ির সীমানা প্রাচীর পরিষ্কার করছিলেন। এসময় মামলার বিবাদী আইয়ুব আলী বার্বুচী এসে কোন ধরনের কারন ছাড়াই অশ্লীল মন্তব্য ও গালমন্দ করতে থাকেন। পরর্বতীতে সন্ধ্যা ৭টায় আইয়ুব আলীর ছেলে সাব্বীর এসে গেইট ধাক্কাতে থাকে। এক র্পযায়ে বাবা ছেলেসহ ৭ থেকে ৮জন বাড়িতে জোড়র্পূবক ঢুকে পরে ও বিবাদী মামুন তার বোন ফেরদৌস আরা বেগমের উপর হামলা চালায়। তখন তাদের রক্ষা করতে মামুনের ছোটভাই নোমান এগিয়ে আসলে তাকে মাটিতে ফেলে মরতে থাকে। সামীকে রক্ষা করতে ফাতেমা এগিয়ে আসলে সাব্বীরের হাতের ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফাতেমার হাতে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। পরে সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে ভাংচুর করে ও ঘরের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ অর্থ ও মামুনর স্ত্রীর গলার স্বর্নের চেইন কেড়ে নেয় যার আনুমানিক মূল্য এক লক্ষ টাকা। চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষ এসে পরিবারটিকে উদ্ধার করে। পরে নোমেনের স্ত্রী ফাতেমাকে কুমিল্লা সদর হাপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। মামুনের পিতা বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ জানায়, এই হামলার বিচার না করা হলে তারা আবারো হামলা চালাবে। দিনে যেহেতু বাড়িতে পুরুষ থাকে না তাই বাড়ির নারী ও শিশুরা আতংকিত হয়ে পরেছে। আহত ফাতেমা বলেন, একটুর জন্য আমার স্বামী রক্ষা পেয়েছে । সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলতে হামলা চালিয়ে ছিলো।
এলাকাবাসী জানায়, এই পরিবারটি আজ অনেক বছর এই এলাকায় বসবাস করছে কিন্তু কখনো কারো সাথে ঝগড়ায় জড়ায়নি। এই হামলা অপ্রত্যাশিত। দ্রুত বিচার হওয়া উচিত।