কুমিল্লায় রহস্য জনক ভাবে শিক্ষক পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে পরিবারটি

স্ট্যাফ রিপোর্টার।কুমিল্লায় প্রশাসনের নাম ব্যাবহার করে রহস্য জনক ভাবে শিক্ষক পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে জানানোর পরেও প্রতিকার পায়নি পরিবারটি। কুচক্রী মহলের কাছে জিম্মী হয়ে মানবতর জীবনযাপন করছেন তারা। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের বিপদের আশংকা করা হচ্ছে।
পরিবারটি প্রায় ৩৩বছর ধরে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের পুরাতন চৌধুরী পাড়া এলাকায় বসবাস করছেন। কুমিল্লা পিটিআই স্কুলের অবঃপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া ১৯৯০ সালে প্রায় চার শতক জমি ক্রয় করে তিনতলা বিশিষ্ট আলোছায়া নামের বাড়িটি করেন যার হোল্ডিং নাম্বার-৭৩। অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক তার স্ত্রী নবাব ফয়জুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবঃপ্রাপ্ত শিক্ষিকা হালিমা বানু, একমাত্র ছেলে সন্তান সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা, শিক্ষানবিশ আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও সংবাদ কর্মী মওদুদ আব্দুল্লাহ, পুত্রবধু ও নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন। উনার একমাত্র মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ঢাকায় স্বামীর সাথে থাকেন।
সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা, শিক্ষানবিশ আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও সংবাদ কর্মী মওদুদ আব্দুল্লাহ জানায়, ২০১৬ সাল পর্যন্ত বেশ ভালো ভাবে কাটিয়েছিলেন তারা। এর পর থেকেই কতিপয় অজ্ঞাতনামা প্রশাসনের নামধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য, গোয়েন্দা ও মন্ত্রনালয়, সচিবালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আমাদের পারিবারিক মর্যাদা ও আমার পেশাগত জীবনের সুনাম ক্ষুন্য করার পায়তারা করে।
যেহেতু আমি সমাজসেবা মূলক কাজে নিয়োজিত আছি সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মহলে মানহানীকর কথাবার্তা বলতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকী ধমকী, আমি সহ আমার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দেয়ার ভয় দেখায়। তারপর থেকে আমি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙ্গে পরি। এছাড়াও কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি আমি যেখানেই যাই সিএনজি অটোরিক্সা, মটর সাইকেল নিয়ে আমার পিছু করতে থাকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আমাকে চিনে না বলে হাসি ঠাট্টা করে।
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে বিষয়টি প্রশাসনকে জানাই। কুমিল্লা কতোয়ালী মডেল থানায় ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর প্রথম জিডি করি যার নাম্বার-৯০৯, পরে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অপর একটি জিডি করি যার নাম্বার-১৪৪৪। তারপরে জিডির কপি, প্রমানাদী সংযুক্তিসহ পুলিশ সুপারের কাছে ২০২০ সালের ২৩শে জুন দরখাস্ত করি যার ডকেট নম্বর-২১৬৮/এম এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জিডির কপি, রেজিস্ট্রেট নথি ও প্রমানাদি দিয়ে আমি ও আমার পরিবার পরিজনদের সার্বিক আইনগত আত্মরক্ষা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকল্পে সুবিচার প্রাপ্তির আশায় ২০২০ সালের ১৮ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করি। যাহার রিসিভকৃত রেজিঃ এ ডি নং-২৮৪ সহ দরখাস্ত করি। তাছাড়াও আমি রেবের ডিজি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, সচিবালয়, আইজিপি, আইন মন্ত্রণালয়ে সুবিচার প্রাপ্তির আশায় দরখাস্ত দেই।

তিনি বলেন, যেহেতু আমি শিক্ষানবিশ আইনজীবী, সংবাদ ও মানবাধিকার কর্মী, আমাকে বিভিন্ন সময় মানব কল্যানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। আমার কাজে ভদ্রলোকদের উপকার হলেও খারাপ মানুষদের স্বার্থে লাগে। এই কারনে আমার সাথে এই ধরনের জুলুম হতেপারে বলে আমি মনে করছি। তাছাড়াও অপরাধিরা যেহেতু তাদের পরিচয় গোপন করছে তারা আমার কাছের মানুষও হতে পারে। ইতমধ্যে এসকল মানসিক চাপে আমার বাবা মা অসুস্থ হয়ে পরেছেন। আমার স্ত্রী বাসা থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। আমার সদ্য জন্ম নেয়া বাচ্চাটি সহ গোটা পরিবার প্রাননাশের আশংকায় রয়েছে। আমার কর্মক্ষেত্রেও প্রভাব পরছে যার ফলে আর্থিক ভাবে আমি চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। এছাড়াও আমাকে অপহরন করে গুম করতে পারে। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সহকরে দেখবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
এবিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা জেলা শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানায়, বিষয়টি আমরা অবগত আছি। আপরাধিরা অইন ও মানবাধিকার দুটোই লঙ্ঘন করছে। প্রশাসন বিষয়টি জোড় দিয়ে তদন্ত করে আপরাধিদের গ্রেফতার না করলে যেকোন ধরনের বড় দূর্ঘটনা হতে পারে।
হিউম্যান রাইটস রিভিউ স্যোসাইটির চেয়ারম্যান এড. সায়েদুল হক সায়েদ জানায়, বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। বর্তমান সমাজে এমন ধরনের নেক্কার জনক ঘটনা কাম্য নয়। আমরা ভিক্টিমের সাথে আছি, আমরা আশাকরি প্রশাসন ও ভিক্টিম ও তার পরিবারের পাশে থাকবে। উক্ত প্রশাসনের নামধারী নারী পুরুষ সিন্ডিকেটের উক্ত মহল দদ্বারা ভিক্টিম ও তার পরিবার পরিজনদের অপুরনীয় ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়াও মিথ্যা মামলা সৃজন করে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে পারে।

নিউজের জন্য সকল ধরনের দলিল দেয়া আছে

কুমিল্লা কতোয়ালী মডেল থানায় ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর প্রথম জিডি করি যার নাম্বার-৯০৯, পরে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অপর একটি জিডি করি যার নাম্বার-১৪৪৪। জিডির কপি সংযুক্তিসহ পুলিশ সুপারের কাছে দরখাস্ত করি যার ডকেট নম্বর-২১৬৮/এম এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি দরখাস্ত দেই যার রিসিভিং রেজিঃ এ ডি নং-২৮৪। ফটোকপি দেয়া আছে।

আরো পড়ুনঃ