কুমিল্লায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা, ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন

মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার।

স্বল্প সময়ে এবং অল্প ব্যয়ে মধ্যম মানের চিকিৎসক তৈরির সিদ্ধান্তটি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। প্রথম পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনাতেই তিনি এটি রেখেছিলেন এবং এই মধ্যম মানের চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করার কথাও বলেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ১৯৭৬ সালে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস)-এর যাত্রা শুরু হয়।

স্বতন্ত্র শিক্ষাবোর্ড গঠন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দ্রুত নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২০ আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ) সকাল থেকে কুমিল্লা হাউজিং এস্টেট সরকারি ম্যাটস এর শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারা বিভিন্ন পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আজও বাস্তবায়ন হলো না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮)। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা প্রদান বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বাংলাদেশে অন্যান্য সব ডিপ্লোমা সেক্টরে সরকারি চাকরির নিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকলেও ম্যাটস ডিপ্লোমাধারীদের বিগত একযুগ ধরে কোনো সরকারি নিয়োগ বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে সারা দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি ম্যাটস শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলানোসহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কঠোর থেকে কঠোরতর ছাত্র ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ বহালসহ অসঙ্গতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন, অ্যালাইড হেলথ বোর্ড বাতিল করে অবিলম্বে মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দ্রুত নিয়োগ ও বঙ্গবন্ধুর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা প্রদানের দাবি জানান।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে
বক্তব্য রাখেন,মোঃ আবুল বাশার,ওমর ফারুক, ম্যাটসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন চন্দ্র শীল, মোঃ মেহেদী হাসান, ফাতেমা আক্তার মুন্নি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাওসার হোসেন এবং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইফসী আহমেদ রিয়া,তামিম আহমেদসহ অনেকে।

উক্ত মানববন্ধনে কুমিল্লার সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

আরো পড়ুনঃ