তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
অবৈধ ভারতীয় গাঁজা বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে দু’জনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। রোববার (২৭ আগস্ট) কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার জাহানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আকতার হোসেনের ছেলে মোঃ সৈয়দ আহাম্মদ ও কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল দক্ষিণ পাড়ার আবদুল আলীমের ছেলে নাহিদ হাসান।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৩ সালের ১৯ মে ডিএডি/সাইফুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ডিউটি করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে জানতে পেরে ৫০ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা সীমান্ত এলাকা হইতে ক্রয় করিয়া বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে জৈনক জহির এর বশত ঘরে রাখিয়া বিক্রয় করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে উপস্থিত হয়ে আসামি মোঃ সৈয়দ (৪৯) ও নাহিদ হাসান (১৮) কে জিজ্ঞাসাবাদে জব্দ কৃত গাঁজা বের করে দেয়। এ বিষয়ে ঢাকা মোহাম্মদ পুর RAB-11, সিপিসি-০১ এর ডিএডি/ সাইফুর রহমান বাদী হয়ে ধৃত দুই আসামি সৈয়দ ও নাহিদ হাসান ও পলাতক দুই আসামি মোঃ জহির (৪৮) ও রানা (২২) কে আসামি করে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর টেবিল ৭ (খ) ধারা বিধান মতে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফজল আহমদ খান ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৩ সালের ২৭ জুন বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-১১৭)। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৫ সালের ০৮ মার্চ আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় বিধানমতে চার্জ গঠন করিলে রাষ্ট্রপক্ষে মানীত ১২জন সাক্ষীর মধ্যে ৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর টেবিল ৭ (খ) ধারায় তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্তক্রমে সাত বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর দুই আসামি মোঃ সোহেল রানা ও মোঃ জহিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আয়েশা বেগম।