কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মধ্যরাতের আগুনে ছাই ১৪ দোকান

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মধ্যরাতের আগুনে ছাই ১৪ দোকান

নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় মধ্যরাতে লাগা আগুনে পুড়ল ১৪টি দোকান। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে ব্যর্থ হলে লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

উপজেলার হেসাখাল বাজারে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ ভুঁইয়া জানান,বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনে বাজারের মুদি দোকান, কনফেকশনারি,ফার্মেসিসহ অন্তত ১৪টি দোকান ছাই হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন,নাঙ্গলকোট উপজেলায় কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় এখানে আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণে লাকসাম উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসেন। এটি সময়সাপেক্ষ হওয়ায় এখানে আগুন লাগলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়।
হেসাখাল বাজারে গিয়ে দেখা যায়,আগুনে মা ফার্মেসির সব ওষুধ পুড়ে গেছে।

ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আজিজুল হক মাইন বলেন,ওষুধের দোকানের পাশাপাশি আমি বিকাশের ব্যবসা করতাম। রাত সাড়ে ১২টায় আগুনের খবর পাই। এ ঘটনার এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে। ততক্ষণে চোখের সামনে পুরো দোকানটি পুড়ে শেষ।

আগুনে চোখের সামনে ব্যবসায়ী সারোয়ার আলমের কসমেটিকসের দোকানটি পুড়ে যায়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন,আমার সব শেষ হয়ে গেল। এই ক্ষতি আমি কেমনে কাটিয়ে উঠব।

লাকসাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাৎ হোসেন জানান,খবর পেয়ে তাদের একটি ইউনিট সেখানে গিয়ে আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

আরো পড়ুনঃ