কুমিল্লার নাসিমা হত্যা মামলায় মহিন উদ্দিনের ফাঁসি ও কুমিল্লার বুড়িচংয়ের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের মনিরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৪জনের ফাঁসি ।।

 বিশেষ  প্রতিনিধি ।।

কুমিল্লার লাকসাম গোপালপুরে ২০১৯ সালে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে নাসিমা আক্তার হত্যা মামলায় আসামী মো: মহিন উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ডসহ একলক্ষ টাকা অর্থ দন্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির‌্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত।

মঙ্গলবার (০৮আগষ্ট) দুপুর আড়াইটায় কুমিল্লার নারী ও শিশু নির‌্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। রায় ঘোষনাকালে আসামি মহিন উদ্দিন আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লার লাকসাম দক্ষিণ বিনই গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে

মোঃ মহিন উদ্দিন(২৮)।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি এড. প্রদীপ কুমার দত্ত জানান

 মামলার বিবরণে জানা যায় –কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার জয়নগর গ্রামের যুবতী নাসিমা আক্তার (২৪)কে প্রেমের ফাদেঁ ফেলে লাকসামের মহিন উদ্দিন২০১৯সালের ২৬ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাকসামের গোপালপুর গ্রামে শাহআলমের পরিত্যাক্ত ঘরে ধর্ষণ করে গলায় মুখে কাপড় পেচিঁয়ে  নাসিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হাত-পা বেধেঁ পালিয়ে যায় মহিন।পরে নিহতের ভাই ফজলে রাব্বী বাদী হয়ে লাকসাম থানায় নারীও মিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

 রাষ্ট্রপক্ষ ১৪জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পর্যালোচনাক্রমে  আসামী মহিন উদ্দিনকে ফাসিঁতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পযন্ত ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদন্ডাদেশ ও একলক্ষ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন আদালত।

 এদিকে কুমিল্লার বুড়িচংয়ের জগতপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের মনিরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৪জনের ফাঁসি দেয় স্পেশাল ট্রাইবব্যুনাল-৩ আদালত ।আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করে আদালত|

মঙ্গলবার (০৮আগষ্ট) সাড়ে ৩টায় কুমিল্লার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে বিচারক রোজিনা বেগম এ রায় দেন। রায় ঘোষনাকালে দন্ডপ্রাপ্তরা আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্তিএ মো: সেলিম মিয়া জানান-সম্পত্তির ভাগাভাগি সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিবেশী কনু মিয়ার বাকবিতণ্ডা চলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কনু মিয়া দলবল নিয়ে নজরুল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও করে। এই সময় নজরুল ইসলামের ভাই মনিরুল ইসলাম গরুর দুধ বিক্রি করার জন্য বুড়িচং বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নজরুল ইসলামের বাড়ির সামনে আসলে মালেক, মফিজুল, ইউসুফসহ অন্যান্য আসামীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মনিরুলকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। এই সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় মনিরুল ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পর্যালোচনাক্রমে  এ রায় প্রদান করেন আদালত।

আরো পড়ুনঃ