নানা সমস্যায় জর্জরিত দাউদকাদির ২০ শয্যা হাসপাতাল / দু’বার উদ্বোধন হলেও পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি আজও

 

দাউদকাদি প্রতিনিধিঃ।

কুমিল্লার দাউদকাদি পৌর সদরর দোনারচর ২০ শয্যা হাসপাতালটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। সমস্যার যেন শেষ নেই। এ হাসপাতালটি সর্বপ্রথম ২০১৬ সালের মার্চ মাসে বিএনপি জোট সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন উদ্বোধন করলেও পরে তা নানান সমস্যার কারণ বন্ধ হয় গেলে পরবর্তীতে মহাজোট সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী শেখ সেলিম পুনরায় দ্বিতীয়বারের মত উদ্বাধন করেন।

তার পর থেকে এ হাসপাতালটি কোন রকম জোড়াতালি দিয় চালানো হচ্ছে আউটডার। ২০শয্যা এ সরকারি হাসপাতালর ইনডোর সকল ব্যবস্থা থাকলেও নানা সমস্যার কারণে চালু না থাকায় দীর্ঘদিন ধর প্যাথলোজি বিভাগ, আল্ট্রা, এক্সরেসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরিক্ষা বন্ধ থাকায় মেশিন পত্র প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুরো হাসপাতালে মাত্র ৪টি রুম বিদ্যুৎ রয়েছে, অন্য কোন রুমে বিদ্যুৎ নেই, নেই পানি, বেশ কয়কটি দরজা জানালা ভাঙা তাছাড়াও বেশির ভাগই ভেছিন, ওয়াশরুম গুলি ব্যবহারর অনউপযোগী ।

ডা. ছাড়াও অন্যান্য পদের জনবল সংকট রয়েছে। মাত্র ৪জন ডা. দ্বারা কোনরকম জোড়া তালি দিয় আউডডোর চালু রাখা হয়েছে। ২০ শয্যা হাসপাতালর অফিস সহকারী নেছার উদ্দিন বলন, ২০১৮ সালর ফেব্রুয়ারি মাসে এ হাসপাতালে আগুন লেগেছিলো। আগুন লাগার কারণে বেশ কিছু দরজা, জানালা ও হাসপাতালর প্রয়াজনীয় জিনিস ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এগুলা এখনো মেরামত করা হয়নি।

দাউদকান্দি সদর অবস্থিত একমাত্র এটি সরকারি হাসপাতাল। এ হাসাতালে প্রতিদিনই শত শত রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে এসে কাক্ষিত সেবা পাচ্ছে না। দাউদকান্দি সদরে দিনর বেলার পরিবর্তে রাতের বেলায় কান ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলে বেসরকারি হাসপাতালে বা ১০-১২ কিলোমিটার দূর অন্য আরেকটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। জানাযায়, ইনডোর সেবা চালু করতে হলে প্রথমে হাসপাতালের অবকাঠামো সংস্কার, ডা. সংকট,নেই ভর্তিকৃত রোগীর জন্য আবাসিক বা সিটের ব্যবস্থা এছাড়া রয়েছে পানি, বিদ্যুতের সংকট।

হাসপাতালের আবাসিক ডা. হোসনেয়ারা সাথে কথা হলে তিনি জানান, নানা সংকটের পরও আমরা নিয়মিত সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। এ হাসপাতালে আমরা মাত্র ৪জন ডা. রয়েছি। প্রতিদিনই ১৫০ থেকে ১৬০জন রাগীর সেবা নিতে এসে থাকেন।

দোনারচর ২০ শয্যা হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. আকিফা সুলতানা বলেছেন, হাসপাতালে ঔষধের কোন সংকট নেই। প্রায় সকল রোগেরই ঔষধ রয়েছে। হাসপাতালে পানি ও বিদ্যুৎ, সংকট ছাড়াও হাসপাতালের মূল ভবনের অনেকগুলো দরজা, জানালা ভাঙা ছাড়াও ভেছিন এবং ওয়াশরুমগুলি ব্যবহারের অনুপযোগী। এগুলা ঠিকঠাক করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা পত্র প্ররণ করছি।

আরো পড়ুনঃ