প্রেমিকার পরিারের সদস্যদের পিটুনীতে প্রেমিকের মৃত্যু, জানতে পেরে শোকে বাবার মৃত্যুবরণ

 

তৌহিদ খন্দকার তপু।।  ছেলের লাশ দেখে বাবার মৃত্যু। বাড়িতে দুই লাশ দেখে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। আহাজারিতে ভাড়ি হয়ে উঠেছে এলাকার বাতাস। শোকে পাগলপ্রায় মাহিনের প্রেমিকা ও পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ জানায়, আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা ধরে নিয়ে পিটুনি দেয় মাহিনকে। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, আজ চিকিৎসক তাকে বাড়িতে
 পাঠিয়ে দিলে,  তাকে বাড়িতে পাঠানো হলে মাহিন মৃত্যু বরণ করেন।
বাড়িতে ছেলের লাশ দেখে মাহিনের বাবা হিরণ মিয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।  এক পর্যায়ে দেশটিভির ক্যামেরায়  সাংবাদিকদের বক্তব্য দেয়ার সময় মৃত্যু বরণ করেন তিনি।
প্রেমিকা  তন্নী আক্তার জানায়, আদালতে আমরা বিয়ে করেছি। আমার পরিবার বিষয়টি মানতে রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে তারা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করে। আমাকে ঘর থেকে বের হতে দেয়নি তারা।
ছেলের বাবা হিরণ মিয়া মৃত্যুর আগে পথিকৃত কুমিল্লাকে জানায়, তার প্রতিবেশী মুজা মিয়ার মেয়ের সাথে তার ছেলের সম্পর্কের বিষয়টি তাদের জানাছিলো। মেনেও নিয়েছিলেন তারা। হত্যার বিচার দাবি করেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন তিনি।
এলাকাবাসী, মাহিনের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা জানায়, বিষয়টি এলাকার সবাই জানতো। কয়েকবার বিচারও হয়েছিলো।  ছেলের পরিবার মেনে নিলেও  মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। যার ফলে এই ঘটনাটি হয়েছে।
জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হাসান  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান,  ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে।  জড়িতদের গ্রফতার করার চেষ্টা চলেছে। গ্রেফতার করার পর আসল ঘটনা উঠে আসবে।
বোনের ননদের সাথে প্রেম করতে গেলে বোনের দেবর, ভাসুর সহ অন্যান্য আত্মিয়দের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় মাহিন। ঘটনাটি সুস্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে অপরাধীদের এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
আরো পড়ুনঃ