বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হচ্ছে কুমিল্লার তিনটি বন্ধ রেল স্টেশন, খরচ দেড়লাখ নেই কোন আয়। 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বন্ধ রেল স্টেশনে প্রতিমাসে খরচ দেড়লাখ, নেই কোন আয়। বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হচ্ছে কুমিল্লার তিনটি বন্ধ রেল স্টেশন। সচল হলে সুবিধা ভোগ করতে পারবে যাত্রীরা এমনটাই তাদের প্রত্যাশা। অপরদিকে স্টেশন মাষ্টার জানালেন, লোকবল সংকটের জন্য চালু কারভ যাচ্ছে না স্টেশনগুলো, অদুর ভবিষ্যতে কাজে লাগবে এসব রেল স্টেশন।

কুমিল্লার লালমাই, ময়নামতি ও আলীশ্বর রেল স্টেশনে থামেনা কোন ট্রেন। দেখতে নান্দনিক এসব রেল স্টেশনগুলো পরিনত হচ্ছে মানুষের বিনোদনে। বিকাল হলেই পাশবর্তী এলাকার মানুষ ভীড় করে এসব স্টেশনগুলোতে। প্লাটফর্মে ও রেল লাইনের উপর বসে আড্ডা দিতে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের মানুষদের।

ফুট ওভারব্রীজ সহ সকল স্থানেই হাটাহাটি, ছবি তোলা, টিকটক ভিডিও করে সময় কাটাচ্ছেন তারা। ছোট ছোট বাচ্চাদের ও ছুটাছুটি করতে দেখা যায় এসব রেল স্টেশনে। দৃষ্টি নন্দন অবকাঠামো এবং শহর থেকে একটু দুরে এসব রেল স্টেশন মানুষের পছন্দের জায়গায় পরিনত হলেও থামেনা কোন ট্রেন। অত্যাধুনিক মেশিন থাকার পরও নেই কোন কার্যক্রম।

কুমিল্লা রেল স্টেশন থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দুরুত্বে ময়নামতি রেল স্টেশনটি। কোন প্রয়োজন না থাকায় ১০ বছর আগে বন্ধ করে দেয়া হয় স্টেশনটি। ৫০ কোটি টাকা খরচ করে সম্প্রতি এই রেল স্টেশনটিকে অত্যাধুনিক করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবেই বন্ধ হয়ে গেছে লালমাই রেল স্টেশনটি।

এই স্টেশনটিও একই প্রকল্পের আওতায় একই বাজেটে সংস্কার করা হয়। অপর একটি আলীশ্বর রেল স্টেশন লাকসাম জংশন থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দুরে অবস্থিত ।

কোন প্রয়োজন না থাকায় এটিও বন্ধ হয়ে গেছে ১২ বছর আগে। তিন স্টেশন থেকে এক টাকাও আয় না হলেও প্রতি মাসেই লোকসান গুনতে হচ্ছে সরকারকে।

শহরের ব্যস্ততা ভুলতে, একটু খোলামেলা জায়গায় সময় কাটাতে আসছে সাধারন মানুষ তবে স্টেশনগুলো দ্রুত চালু হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে যাত্রীরা।

লালমাই রেল স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাষ্টার জানায়, এই স্টেশনটিতে একটি ট্রেন থামলেও কোন যাত্রী উঠানামা করেন ।

কুমিল্লা রেল স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার বলেন, কুমিল্লাকে বিভাগ করার পরিকল্পনা চলছে তখন এই স্টেশনগুলো কাজে লাগবে। এছাড়াও জনবল সংকট রয়েছে।

ছুটির দিনে বেশ ভীড় হয় এসব স্টেশন গুলোতে। নিরাপত্তার বিষয়টিও নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন মহল।

আরো পড়ুনঃ