যৌতুকের জন্য নরসিংদিতে কুমিল্লার মেয়েকে হত্যার অভিযোগ।
স্টাফ রিপের্টার।।
যৌতুক না দেয়ায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজনরে প্ররোচনায় গায়ে আগুন দিয়ে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু বরণ করেন কুমিল্লার মেয়ে কল্পনা রানী(২৫)। গত ৮ মে শনিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা শেখ হাসিনা র্বাণ হ্াসপাতালে মৃত্যু হয় তার। নিহত কল্পনা রানী কুমিল্লা নগরীর আদর্শ সদর উপজেলার সুজানগর সুইপার কলোনীর মনা লাল সুইপারে মেয়ে।
নিহতরে পরিবার ও থানায় অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় রাজু লাল বাঁশফোর ও কল্পনা রানী দম্পত্তির। বিয়ের পর থকেইে কল্পনা রানী পরিবারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিল রাজু লাল বাঁশফোর ও তার পরিবারের সদস্যরা। কল্পনা রানীর বাবার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা,৩ ভরি স্বর্ণ,১৬ ভরি রূপাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র প্রদান করে। এর মধ্যে কল্পনা রানী ঘরে দুইটি ছেলে সন্তান জন্মদেয়। বড় ছেলে অবিনাশ বাঁশফোর (বয়স অনুমান আড়াই বৎসর) দ্বিতীয় ছেলে মাধুর্য্য বাঁশফোর( বয়স অনুমান ১৩ মাস) বিয়ের ৩ বছর পর আবার যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে রাজু লাল বাঁশফোর ও তার পরিবারের সদস্যরা। কল্পনা রানীর পিতার অক্ষমতার কথা চিন্তা করে এতে অপরাগতা প্রকাশ করায় গত ৭ মে যৌতুকের টাকা নিয়ে তাদরে মধ্যে পুনরায় বিবাধের সৃষ্টি হয়। এসময় রাজু লাল বাঁশফোর ও তার পরিবারের সদস্যদের প্ররোচনায় আত্মহত্যার পথ বেচে নেয় কল্পনা রানী। গত ৭ মে রাতে কল্পনা রানী নিজের শরীরে দার্য পদার্থ ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কল্পনা রানীর্আতচিৎকারে আশপাশরে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারী হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা র্বাণ হাসপাতালে র্ভতি করেন। ওই সময় তার শরিলের প্রায় ৯৪ শতাংশ পুড়ে যায়। ৮ মে শনবিার দুপুর ১২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দুই ছেলের সন্তানরে এই জননীর। এ নিয়ে নরসিংদি ও কুমিল্লায় ব্যাপক চাঞ্চল্যরে সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত কল্পনা রানীর বাবা নরসিংদী থানায় একটি হত্যা মামলাদায়ের চেষ্টা করলেও পুলিশ মামলা নিতে অনিহা প্রকাশ করলেও পরে মামলা গ্রহণ করে। মামলার বাদী মনা লাল সুইপার জানান, যৌতুকরে টাকা দিতে পারেনি বলে আমার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করা হল। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
নিহত কল্পনা রানীর আত্মীয় দুলাল লাল জানান, প্রায় ৩ বছর আগে কল্পনা রানীকে নরসিংদি আনন্দী ভরসা টেক্সটািইল মিল সংলগ্ন হরিজন কলোনী মাধবদী থানা এলাকায় নন্দু লাল বাঁশফোরের ছেলে রাজু লাল বাঁশফোর সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। তাদের ২ টি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের ৫ লাখ টাকা জন্য রাজু লাল বাঁশফোর প্রায় সময় কল্পনা রানীর ওপর নির্যাতন চালাত। একপর্যায়ে টাকা দিতে না পারায় কল্পনা রানীর আত্মহত্যা হত্যার পথ বেচে নেয়।