কুমিল্লার মুরাদনগর অনলাইনে প্রতারণা: শ্রমিকলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মুরাদনগর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের পেছনে হুমায়ুন ভিলার তৃতীয় তলায় অফিস থেকে রোববার সকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন মুরাদনগর সদর উত্তর পাড়ার বাসিন্দা মহসিন হায়দার ও দেবিদ্বার উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মো. আলাউদ্দিন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান জানান, গত ছয় মাস ধরে ‘মাই ন্যাশনাল আইটি’ নামের চলছিল কোম্পানিটি। এই সময়ের মধ্যে চক্রের দুই সদস্য প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় প্রায় ১০ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠান থেকে বায়োফ্লক মাছের প্রজেক্ট, ক্যাটারিং প্রজেক্ট, অনলাইন টিভি চ্যানেল, ন্যাশনাল আইটি সেক্টর, ন্যাশনাল ই-কমার্সসহ ঢাকা ও গাজীপুরে তিন হাজার ৬০০ বিঘার উপর রিসোর্টের নামে শেয়ার বিক্রির করেন তারা।
নেয়ামতপুর গ্রামের ভুক্তভোগী আবু বক্কর জানান, মহসিন তাকে কোম্পানির একটি একাউন্ট আবু বক্কর কিং নামে খুলে দেয়। পরে সেই অনলাইন একাউন্টে তিনি ডলার দিয়ে দুই লাখ টাকা দেন।
প্রথম মাসে তাকে শেয়ারের লভাংশ দেয় ১০ হাজার টাকা। পরের মাসে মাত্র ৬০০ দিনে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার লোভে সে এক সঙ্গে ১৫ লাখ টাকা জমা দেয়। এরপর থেকে মহসিন নানা টালবাহানা শুরু করে।
আবু বক্করের মতো উপজেলার নবীপুর গ্রামের সাগর মিয়া ও মো. কিবরিয়া, রহিমপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া, নোয়াগাঁও মাহবুব সরকার, নেয়ামতপুর গ্রামের মোবাশ্বির ভূঁইয়া, ভূবনঘর গ্রামের বেলাল হোসেন ও আবু হানিফের কাছ থেকে পর্যাক্রমে প্রায় ৬৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে চক্রটি।
তবে প্রতারণা চক্রের মূলহোতা মহসিন হায়দারের দাবি, এ পেশায় তারা একা নয়, তাদের প্রধান রয়েছেন কুমিল্লা নগরীতে। যারা সব সময় থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ওসি সাদেকুর রহমান জানান, তাদের কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। কয়েকজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় দেড় মাস চেষ্টার পর তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবু বক্কর রোববার একটি মামলা করেন। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।