কুমিল্লায় হত্যার ৪র্থ দিনে চিকিৎসক দম্পতির দাফন সম্পন্ন
শাহ ইমরান।।
কুমিল্লায় পল্লী চিকিৎসক দম্পতি পরিবারের নিয়ন্ত্রন নিতে ব্যর্থ হয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকেই হত্যা করা হয়েছে। ওই চিকিৎসক দম্পতি ছিলেন হত্যাকারীর শুশুর-শাশুরি। হত্যার বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন নিহতদের পুত্রবধূ শিউলি আক্তার।
হত্যাকাণ্ডের চারদিন পরে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টায় পল্লী চিকিৎসক দম্পতির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
এনিয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। দুবাই প্রবাসী বড় ছেলে আমানউল্লাহ দিদারের স্ত্রীর হাতে নিহত হন আমানের বাবা পল্লীচিকিৎসক বিল্লাল হোসেন ও মাতা সফুয়া খন্দকার।
আমান মা-বাবার বিদায় বেলার শেষবারের মতো দেখতে পারেনি তাদের। দেশে আসার পর তার এয়ারপোর্টে ধরা পরে করোনা পজেটিভ, এজন্য থাকতে হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে।
এদিকে চিকিৎসক দম্পতির ছোট ছেলে ও আমানের ছোট ভাই সৈয়দ সানাউল্লা প্রবাস থেকে দেশে ফিরে কুমিল্লায় তার মা-বাবার হত্যার ৪দিন পর ফ্রিজাপ ভ্যানে রাখা লাশ গোসল শেষে দাফনে নিলে তিনি জানাজায় উপস্থিত হয়ে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুর রহমান জুয়েল। পাঁচথুবি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী সেলিম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক
জিয়াউল ইসলাম জীবন।
এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীদের একটাই দাবি খুনিদের যেনো দৃষ্টান্ত মূলক বিচার ফাঁসি হয় এবং আসামীদেরকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করায় ধন্যবাদ জানান।
এ হত্যা কান্ডের সাথে জরিত পুত্রবধূ শিউলী আক্তার, শিউলীর খালাতো ভাই জহিরুল ইসলাম সানি ও সানির বন্ধু তুহিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।