সৌরভ মাহমুদ হারুন।
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার দূর্গাপুর নোয়াপাড়া এলাকায় চোর বলে সন্দেহ করায় এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বস্তাবন্দি মরদেহ ডোবায় ফেলে দেয়া হয়।
নিহতের নাম মনজুরুল ইসলাম (২৬)। তার বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে।
নিহত মনজুরুল উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন এর দূর্গাপুর নোয়াপাড়া এলাকায় আক্তার হোসেনের গরুর খামারে কাজ করতো।
এ ঘটনায় ঘাতক নাহিদ হোসেন (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘাতক নাহিদের বাড়িও রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার উজিয়াল ডাক্তারপাড়া এলাকায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ কামরান হোসেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় পুলিশ বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে এবং রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পুলিশ কর্মকর্তা কামরান জানান, গতকাল সোমবার ১৬ জানুয়ায়ী বিকেলে মোস্তাকিন মিয়া তার বড় ভাইকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। পরে প্রযুক্তির সহয়তায় সন্দেহভাজন নাহিদ নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে নাহিদ স্বীকারোক্তি দেয় সে মনজুরুলকে হত্যা করে। নাহিদের দেখানোর পর পুলিশ ডোবা থেকে মনজুরুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মনজুরুল নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আক্তার হোসেনের গরুর ফার্মে কর্মচারী ছিলো। এছাড়াও সময় পেলে অন্যের বাড়িতে দৈনিক মজুরিতে কৃষি কাজ করতো। ঘাতক নাহিদও ওই ফার্মের কর্মচারী৷
গত ১৩ জানুয়ারী রাতে মনজুরুলের পকেটে থাকা ১৪ শ টাকা হারিয়ে যায়। মনজুরুলের দাবি তার টাকা হারিয়ে যায় নি। এ টাকা চুরি করেছে নাহিদ। বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্য বাকবিতন্ডা হয়। পরে মনজুরুল স্থানীয়দের বিষয়টি জানিয়ে ঘুমিয়ে যায়। এদিকে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে রাত সাড়ে ১১ টায় নাহিদ ঘুমন্ত অবস্থায় মনজুরুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফার্মের পাশে ডোবায় ফেলে রেখে যায়।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মনজুরুলের ছোট ভাই মোস্তাকিন মিয়া বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ রহমান জানান, গ্রেফতার নাহিদকে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।