নিজস্ব প্রতিবেদক।
কুমিল্লা বরুড়ায় বই ও কসমেটিক বিক্রেতা মোঃ আক্তারুজ্জামানকে লাকড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড এবং স্বামীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডিত প্রাপ্ত আসামি মোসাঃ হাফেজা বেগম তাসমিহা (২৮) কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার বড় লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান এর মেয়ে ও
দন্ডিত প্রাপ্ত আসামি শাহীন ভূঁইয়ার স্ত্রী এবং ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মোঃ শাহীন ভূঁইয়া (৩৫) হলেন একই গ্রামের মোঃ মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানাযায়- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর রাত ৯টা হতে ১১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টায় আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাকড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরের পানিতে ফেলিয়া গুম করিয়া রাখেন।
এ ব্যাপারে ১১ অক্টোবর নিহতের বড়ভাই কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার বড় লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবুল হাসেম এর ছেলে মোঃ আবুল কাশেম (৪৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মোজ্জামেল হক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোসাঃ হাফেজা বেগম তাসমিহা ও আসামি শাহীন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করিলে তাহারা স্বীকারোক্তিমূলক প্রদান করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল অভিযোগপত্র এবং ২০২১ সালের ২৩ জুন সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করিলে ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আসামি মোসাঃ হাফেজা বেগম তাসমিহা, মোঃ শাহীন মিয়া ও মোঃ মিজানুর রহমান এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামিদ্বয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোসাঃ হাফেজা বেগম তাসমিহাকে মৃত্যুদণ্ড এবং আসামি মোঃ শাহীন ভূঁইয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
এছাড়াও মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আসামি মোঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম এবং আসামি এডভোকেট মোঃ ফারুক আহমেদ।