স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম স্বেচ্ছায় নিজের সম্পদের হিসাব দাখিল করেছেন। গত সপ্তাহে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের দপ্তরে এই হিসাব দাখিল করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো মহাপরিচালক স্বেচ্ছায় নিজের সম্পদের হিসাব দাখিল করেননি। ডা. খুরশীদ এ ক্ষেত্রে নজির স্থাপন করলেন।
গত বছরের ২৩ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যের ডিজির দায়িত্বে আছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে তাকে দুই বছরের চুক্তিতে একই পদে ফের নিয়োগ দেয় সরকার।
স্বেচ্ছায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিল করা প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, আমি দুই বছরের জন্য ডিজি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সম্পদের হিসাব দাখিল করেছি। যাতে পরবর্তী সময়ে কেউ আমাকে ব্লেইম না করে। আমি সম্পদের হিসাব দেখিয়ে দিলাম। যেটি দিয়েছি আমার দুই বছর পিরিয়ডের পর, এর অতিরিক্ত পেলে আমাকে ধরবে। এতে অসুবিধার কিছু দেখছি না। এটি আমি স্বেচ্ছায় দিয়েছি।
ডা. খুরশীদের আগে স্বাস্থ্যের ডিজি ছিলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একের পর এক কেলেঙ্কারিতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত বছরের ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র দেন ডা. আজাদ। সেটি গ্রহণ করে সরকার তার দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে।
স্বাস্থ্য খাতে কেনাকাটায় নানা অনিয়ম নিয়ে এর আগে কথা উঠলেও তাতে সমস্যায় পড়তে হয়নি আবুল কালাম আজাদকে। কিন্তু গত মার্চে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একের পর এক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ হতে থাকলে তাকে বিপাকে পড়তে হয়।
শুরুটা হয়েছিল চিকিৎসকদের নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহ দিয়ে। এর পর রিজেন্ট হাসপাতাল, জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতি ফাঁস হওয়ার পর তোপের মুখে পড়েন ডা. আজাদ। এসব ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনও তাকে তলব করে।