আব্দুর রহমান সাঈফ।
কুমিল্লায় ডা. জহিরুলের ঘাতকদের বিচারের দাবি চিকিৎসক ডা. জহিরুল হকের হত্যার ইন্ধনদাতা সিলভার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ও সালাউদ্দিন মোর্শেদ ভূঁইয়া ওরফে পাপ্পুসহ সব আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে কুমিল্লাজুড়ে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবাই হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), কুমিল্লা শাখা ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কুমিল্লা শাখা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এসময় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, কুমিল্লা বিএমএ’র সভাপতি ডা. আব্দুল বাকী আনিছ, সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসীম, কুমিল্লা স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোরশেদুল আলমসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। পরে তারা ঘাতকদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এছাড়া একই সময়ে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারের (প্রা.) লি. (কুমিল্লা টাওয়ার) সামনে হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানববন্ধন করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর সকালে ঢাকায় ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা. জহিরুল হক মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে গত ২২ অক্টোবর দুপুরে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় শাপলা টাওয়ারের পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ডা. জহিরুলকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
আহত জহিরুলকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়, তবে কুমেকে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আটক পাপ্পুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে সিলভার ফারুক এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন।
ডা. জহিরুল হকের স্ত্রী ফারহানা আফরিন হিমি বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- সালাউদ্দিন মোর্শেদ ভূঁইয়া ওরফে পাপ্পু ও তার স্ত্রী সুমী, ছেলে আরহাম ও আহনাফ এবং সিলভার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ।