যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে,
কুমিল্লা রেলওয়ে ষ্টেশন প্লাটফর্মে অবাধে চলছে বাইক, রিক্সা
বিশে ষ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা দেশের অন্যতম প্রাচীন রেলওয়ে ষ্টেশন। তিন শতাব্দির ছোঁয়া লাগা (১৮৯৫ সালে স্থাপিত) এই ষ্টেশনটি একটি প্রথম শ্রেনীর ষ্টেশন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই রেলওয়ে ষ্টেশন হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করা যাত্রীদের প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কুমিল্লা রেলওয়ে ষ্টেশন হয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী
ঢাকা,চট্টগ্রাম,সিলেট,নোয়াখালী,ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যে আসা-যাওয়া করছে। এই ষ্টেশন হয়ে চলাচল করে প্রতিদিন আন্তঃনগর, মেইল, এক্সপ্রেসসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ট্রেন। দিনরাত এখানে যাত্রীদের পদচারনা থাকে। সরেজমিন ষ্টেশন প্লাটফরম ঘুরে দেখা যায়, রেলওয়েতে মালামাল পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট ট্রলি থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মালামালসহ অটোরিক্সা ,রিক্সা ,মিনিট্রাক বা রিক্সাভ্যান মালামালসহ ষ্টেশনের প্লাটফর্মে ঢুকে যায় মালামালসহ। পরবর্তীতে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন আসার পর এসব যানবাহন থেকেই শ্রমিকরা ট্রেনে মালামাল তুলে দিচ্ছে। এতে ট্রেনে উঠা-নামা করতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেক সময় ট্রেনে তাড়াহুড়ো করে উঠতে গিয়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছেন অনেক যাত্রী। নাম প্রকাশে একটি অনিচ্ছুক সুত্র জানায়, যে কোন মালামাল রেলওয়েতে পরিবহন করতে হলে প্রথমে পার্সেল শাখায় নিয়ে আসতে হয়।
এরপর মালামালের ওজন করে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করে সেগুলো নির্দিষ্ট গোডাউনে রাখতে হয়। এখানে তার কোনটাই চোঁখে পড়েনা। আবার একইভাবে ট্রেন আসার পর বিভিন্নস্থান থেকে ট্রেনে করে আসা মালামাল রেলওয়ের নির্ধারিত শ্রমিকরা সেগুলো ট্রেন থেকে আনলোড করে প্লাটফর্মের বাইরে এনে রাখার পর মালিক পক্ষ তাদের নির্ধারিত যানবাহনে করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যাবে। কুমিল্লা ষ্টেশনে সেটাও চোঁখে পড়েনা। প্লাটফর্মে রিক্সা বা ভ্যান নিয়ে মালামাল ভর্তি করছে প্রতিদিন।
অভিযোগ রয়েছে এজন্য স্থানীয় রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মচারী আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। এঅবস্থায় দেশের প্রথম শ্রেনীর কুমিল্লা রেলওয়ে ষ্টেশন প্লাটফর্মের স্বাভাবিক সৌন্দর্যসহ যাত্রীদের নিরাপদ চলাচলে প্লাটফর্ম এলাকায় রিক্সা,বাইক বা ভ্যান চালানো বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রত্যাশা সাধারণ যাএীদের।