প্রশাসনের নাকের ডগায় কালিরবাজারে দেড়শত বছরের পুরনো পুকুর ভরাট।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামে একটি প্রভাবশালী চক্র প্রায় দেড়’শ বছরের পুরনো একটি পুকুর ভরাট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে সরকারীভাবে পুকুর ,জলাশয় বা ডোবা ভরাট নিষিদ্ধ থাকলেও এই মাঝে প্রায় এক একর আয়তনের পুকুরটির বেশ কিছু অংশ এরই মাঝে ভরাট করে ফেলেছে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তহসিলদারের দৃষ্টি আবর্ষন করলে।

তিনি জানান, তাদের অগোচড়ে ভরাট কার্যক্রম হয়েছে। এদিকে পুকুরটি ভরাট কার্যক্রম চলায় স্থানীয় শত শত মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় সুযোগ থেকে যেমন বঞ্চিত,তেমনি এলাকার বিরাট একটি পানির উৎসস্থল ভরাট করে ফেলায় ভবিষ্যতে স্থানীয়ভাবে জলাবদ্ধতা বা অগ্নিকান্ডের সময় পানি স্বল্পতার আশঙ্কা করছেন সাধারন মানুষ।

সরেজমিন স্থানীয় সুত্রে পাওয়া খবরে জানা যায় জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের অলিপুর গ্রাম সংলগ্ন বাজারের পাশে পুকুরটির অবস্থান। প্রায় একর আয়তনের পুকুরটির মালিক স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন গং পুকুরটি এই গ্রামসহ বাজারের লোকজনদের গোসল,কাপড় ধোঁয়াসহ নিত্য ব্যবহার্য গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহৃত হত।

হঠাৎ করে পুকুরটি ভরাট শুরু করলে স্থানীয়ভাবে পরিবেশ ও তহসিল অফিসকে বিষয়টি জানিয়ে পুকুর ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করলেও কার্যত প্রশাসন থেকে এটা বন্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান পুকুরের পানি নানা কাজে ব্যবহৃত হতো।

প্রতিদিন এই পুকুরের পানি দিয়ে শত শত লোক গোসলসহ নানা কাজ করতো। এছাড়াও সরকারীভাবে পুকুর বা জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ থাকলেও চক্রটি সে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গত প্রায় ২০/২২ দিন ধরে পুকুরটি ভরাট করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমানে পুকুরের উত্তর-পশ্চিম কোনের বেশ কিছু অংশ ভরাট করে সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মান করে ফেলেছে বানিজ্যিক ভবন নির্মানের জন্য।

বিষয়টি জানতে চাইলে কালিরবাজার ইউনিয়ন সহকারী ভুমি অফিসার মোঃ ইউনুস জানান, আমি ভরাট হওয়ার পর বিষয়টি শুনেছি। তবে এর আগে আমার সহকারী বিষয়টি জেনে পুকুর ভরাট বন্ধে নিষেধ করলেও মালিক পক্ষ সেটার প্রতি কোন ভ্রক্ষেপ করেনি। এঅবস্থায় পুকুর ভরাট বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

আরো পড়ুনঃ