অনলাইন রিটার্ন জমায় ১৪বার দেশ সেরা কুমিল্লা ভ্যাট

 

ফারুক আহমেদ।।

অনলাইন রিটার্ন জমায় আবারো শীর্ষে কুমিল্লা কমিশনারেট। এ নিয়ে চৌদ্দ বার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলো সিইভিসি টিম। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মাঠে সক্রিয় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (সিইভিসি) কুমিল্লা টিম।

অক্টোবরে প্রথম হ্যাট্রিক, ২০২১ এর জানুয়ারীতে ডাবল হ্যাট্রিক, এপ্রিলে ট্রিপল হ্যাট্রিক। প্রতিনিয়ত নিজেদের ছাড়িয়ে যাবার প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা। সেপ্টেম্বর’২১ মাসে অনলাইন রিটার্ন দাখিলের হার ছিল ৯৭.০৩%।বর্তমানে অক্টোবর’২১ মাসে অনলাইন রিটার্ন দাখিলের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৭.৫৫%। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামগ্রিক অনলাইন রিটার্ন জমার হার প্রায় ৫৩.৮৫%।

চলতি অক্টোবর মাসে এই কমিশনারেটে অনলাইনে রিটার্ন জমা হয়েছে ৯৭.৫৫%। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সক্রিয়তার মাধ্যমেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। চেয়ারম্যান এর নির্দেশ মতো দেশকে ডিজিটাল করার প্রত্যয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন ও রিটার্ন দাখিল অন্যতম ডিজিটাল কর্মকান্ড। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সক্রিয়তার মাধ্যমেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। উপর্যুপরি চৌদ্দবার অনলাইন ভ্যাট রিটার্ন জমায় সাফল্যকে ‘চমক’ হিসেবে দেখছে এনবিআর। জানা যায়, মাত্র এক তৃতীয়াাংশ জনবল নিয়ে কমিশনার এ সাফল্য অর্জন করেছে। কথায় নয় কাজে প্রমাণ করে দেখিয়েছে কুমিল্লা কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনারেট। কিভাবে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সফল করা যায়!

সেপ্টেম্বর২১মাসে ড্রাপসে ৬৬টি রিটার্ন জমা থাকায় রিটার্ন দাখিলের হার ছিল ৯৭.০৩%। অক্টোবর মাসে ড্রাপসের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করায় সেপ্টেম্বর২১ মাসের রিটার্ন দাখিলের হার দাঁড়ায় ৯৭.৫৫%। সাফল্যের পিছনে রয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপায়নের অঙ্গীকারে সক্রিয় থাকা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কুমিল্লার (সিইভিসি) কর্মবিলাসী টিম। আর এ টিমকে ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মূল কারিগর হলেন কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী। রিটার্ন দাখিলের হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

দেড়শ সদস্যের টিমকে ৬৭টি জুম সভায় প্রশিক্ষিত ও নিবিড় মনিটরিং করা হয়েছে। সর্বোপরি, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ টিম সদস্যদের পরিশ্রম ও সাফল্যের পিপাসা কুমিল্লা কমিশনারেটকে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ও অনলাইন রিটার্ন জমায় উপর্যুপরি সাফল্য এনে দিয়েছে। কমিশনারেটের অধীন ১৬টি সার্কেল ও ০৬টি বিভাগের সবাই আন্তরিক ছিল।

অনলাইন রিটার্ন জমায় বিশেষ নজরদারি হিসেবে নিম্ম লিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা হয়: করদাতাদের বিরক্ত না করে সার্কেল অফিস থেকে টেলিফোনে যোগাযোগ, স্বল্প সংখ্যক জনবল থেকে দক্ষদেরকে বাছাই করে গভীর রাত পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল, কর্মকর্তারা মাস্ক পড়ে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মকান্ড তদারকি, রিটার্ন দেয়নি এমন করদাতাদের কাছে মোবাইলে বাল্ক এসএমএস প্রেরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহন।

উপকমিশনার (সদর দপ্তর, কুমিল্লা) মোঃ ফখরুল আমিন চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা কাস্টমস টিম।
গত চৌদ্দ মাসের মতো ভবিষ্যতেও রিটার্ন দাখিলের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী।

এ বিষয়ে কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সরকারের ডিজিটাল অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিশেষ এজেন্ডা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাজ করছে। সক্ষম কর্মকর্তাদের বাছাই করে জটিলতর কাজে নিয়োগ, মনিটরিং উদ্বুদ্ধকরণ এক্ষেত্রে গতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। জনবলের সীমাবদ্ধতার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে গেছে সিইভিসি টিম। ধরে রেখেছে ধারাবাহিক সাফল্য।

আরো পড়ুনঃ