দাউদকান্দি প্রতিনিধি।
কুমিল্লার দাউদকান্দি সুন্দলপুর সেচ প্রকল্প খাল ও কালাডুমুর নদের মুখ যেন ময়লার ভাগাড়। সব ধরনের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এখানে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
কালাডুমুর নদ দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজার সংলগ্ন গোমতী নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে গৌরীপুর, জিংলাতলি, ইলিয়টগঞ্জ উত্তর এবং দক্ষিণ ইউনিয়ন অতিক্রম করে ইলিয়টগঞ্জ বাজার হয়ে চান্দিনা উপজেলার পশ্চিমাংশ দিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় পড়েছে।
এই নদের পানি দিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি, মুরাদনগর, চান্দিনা এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার আনুমানিক ৫০ হাজার বিঘা জমির ধানচাষ করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কালাডুমুর নদের উৎসস্থলের পাশে গৌরীপুর সুবল-আফতাব উচ্চ বিদ্যালের সামনে মাইথারকান্দি খালের মুখে গৌরীপুর বাজারের বর্জ্য, পলিথিন-প্লাস্টিকসহ সব ধরনের ময়লা ফেলা হচ্ছে।
ফলে দূষণে কালাডুমুর নদ ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। ইলিয়টগঞ্জ বাজারের ময়লা আবর্জনাও সরাসরি কালাডুমুর নদে ফেলা হয়।
গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই গ্রামের কৃষক রফিক বলেন, খালের মুখটি ময়লার স্তূপে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বর্ষার পানি আসে দেরিতে, যায়ও দেরিতে। এজন্য আমরা কোনো ফসল ফলাতে পারি না। বেশিরভাগ জমিই খিল (অনাবাদি) পড়ে থাকে।
গৌরীপুর সুবল-আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম মিয়া বলেন, খালের মুখে ময়লার স্তূপের দুর্গদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের কোয়ার্টারেও শিক্ষকরা থাকতে পারছেন না।
জানতে চাইলে দাউদকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (গৌরীপুর কার্যালয়) মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খাল ভরাট এবং দখলের বিষয়টি তালিকা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল ইসলাম খান বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদ-নদীর ক্ষতি করা দুঃখজনক।
শিগগিরই গৌরীপুর ও ইলিয়টগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বসে আলোচনা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে