কুমিল্লার লালমাইতে বিএনপির সভায় হামলার ঘটনায় দক্ষিন জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহীন সহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের ।

নিজস্ব প্রতিবেদক।

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাংগা বাজার সংলগ্ন উন্দানিয়া গ্রামে লালমাই বিএনপির বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় দক্ষিন জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহীনসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বাদী বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব উন্দানিয়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম খন্দকার।

এ বিষয়ে বাদী পক্ষের উকিল এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হাসান দ্য ডেইলি ষ্টারকে জানান, ” আজ বুধবার ৯ নং আমলী আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এ মামলা দায়ের করেন।

৯ নং আমলী আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন রিমা মামলাটিকে পুলিশি তদন্তের জন্য কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে প্রেরন করেছেন।

উল্লেখ্য গত শনিবার(২৬ আগস্ট) বিকালে লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির বর্ধিত সভায় হামলায় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা উত্তড্ডা গ্রামের মনির হোসেনের মাথায় ও যুবদল নেতা উন্দানিয়া গ্রামের ফিরোজের পায়ে গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন বিএনপি সমর্থক নেতা কর্মী আহত হয়েছে বলে বিএনপির লোকজন অভিযোগ করে আসছে।

এ মামলার বাদী ও স্থানীয় বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলাম সহ অন্যান্য বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন পূর্ব ঘোষিত বিএপির প্রতিনিধি সভায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা কামরুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে গুলি বর্ষন, হামলা, ভাংচুর করেন।

তবে এ বিষয়ে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ বিষয়টিকে দুপক্ষের মধ্য সংঘর্ষ ও কোন গোলাগুলি হয়নি বলে জানান।

আহত দুইজন মুলত ইটের আঘাতে আহত হয়ে বলে জানান।
অপরদিকে কামরুল হাসান শাহীন জানান ঘটনাটি আওয়ামীলীগের মিছিলে বিএনপি নেতা কর্মীদের হামলায় দশজন ছাত্রলীগ যুবলীগ সদস্য আহত হবার অভিযোগ করেন।

আরো পড়ুনঃ