গোমতী নদীতে চাঁদাবাজির সময় মেজর মোহাম্মদ আলী(অ.) কর্তৃক ধারালো অস্ত্র উদ্ধার।

গোমতী নদীতে চাঁদাবাজির সময় মেজর মোহাম্মদ আলী(অ.) কর্তৃক ধারালো অস্ত্র উদ্ধার।।

দাউদকান্ধি প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গোমতী নদীতে চলমান বালু ও মালবাহী বাল্কহেড থেকে চাঁদা তোলার সময় চাঁদাবাজদের হাতেনাতে ধরার চেষ্টা করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.। এসময় চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও দেশীয় অস্ত্র ফেলে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়।

(১৪ জুন ২০২১) সোমবার বিকেলে দাউদকান্দির সদর উত্তর ইউনিয়নের কদমতলী ও নন্দনপুর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে গোমতী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শেষে, দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.)সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, উপজেলার গৌরীপুর থেকে নৌকাযোগে দাউদকান্দি আসার পথে, পথিমধ্যে সদর উত্তর ইউনিয়নের নন্দনপুর কদমতলী গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে একদল অজ্ঞাত চাঁদাবাজ বাল্কহেড প্রতি ২০০ থেকে হাজার টাকা হারে পণ্যবাহী জাহাজ থেকে জোরপূর্বক টাকা নিচ্ছিলেন।

তাৎক্ষণিকভাবে জাহাজ চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজদের ধাওয়া করলে তারা নৌকা এবং নৌকায় থাকা ধারালো অস্ত্র রেখে গ্রামের ভিতরে পালিয়ে যায়।

পরে চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত নৌকা এবং ধারালো অস্ত্র (দাউদকান্দির-চান্দিনা) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল রানা’র সহযোগিতায় দাউদকান্দি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) বলেন, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। যা একেবারেই আইন পরিপন্থী ও অবৈধ। আমি সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের নির্মূলে আমি বদ্ধপরিকর।দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে, সে যত‌ই প্রভাবশালী হোক ছাড় দেয়া হবেনা।

এবিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, তারা প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেছেন। এই বিষয়ে চাঁদাবাজির একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন।

আরো পড়ুনঃ