বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের পুত্র আনভীরের বান্ধবী, কুমিল্লার মেয়ে মুনিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু।।

বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের পুত্র আনভীরের বান্ধবী, কুমিল্লার মেয়ে  মুনিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু।।

পথিকৃত ডেস্ক।।

বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার মালিক শাহ আলমের ছেলে ও বসুন্ধরা গ্ৰুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সোবহান আনভীরের বান্ধবী বা রক্ষিতা হিসেবে পরিচিত মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে গুলশান ২ এর রোড নাম্বার ১২০, বাড়ি নাম্বার ১৯, ফ্ল্যাট বি-৩ তে দুই মাস পূর্বে এক লক্ষ টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন আহমেদ সোবহান আনভীর।

আরও জানা যায় আহমেদ সোবহান আনভীর উক্ত বাসার ভাড়া দিতেন এবং মাঝে মাঝে উক্ত বাসায় আসা যাওয়া করতেন।বাসাটিতে মুনিয়া একাই থাকতো।

গুলশান থানার উপপুলিশ কমিশনার জানান, “মোসারাত জাহান মুনিয়া রোববার তার বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে অবহিত করেন।”

গুলশান থানা পুলিশ জানায় রাত সাড়ে আটটায় তারা ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং লাশ এর সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। থানা কর্তৃক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিস্তারিতঃ

রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তার বড় বোন বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা করেছেন।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মামলার বিষয়টি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রাতে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর-২৭।

মুনিয়া রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। সেখানেই থাকে তার পরিবার। জানা গেছে, মামলার আসামি করা হয়েছে দেশের একটি শীর্ষ শিল্পগ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি)।

মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে নুসরাত জাহান  বলেন, আমি নিজে বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেছি।

তবে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি না হলেও তিনি বলেন, মামলাটি হয়েছে একজন বিশিষ্ট শিল্পপতির ছেলের বিরুদ্ধে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান ২-এর ১২০ নম্বর সড়কে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে মুনিয়ার বড় বোন দরজা বন্ধ পান। ধাক্কাধাক্কি করলেও দরজা খুলছিল না। এর কিছুক্ষণ আগে থেকে তার ফোনও বন্ধ ছিল। এরপর ফ্ল্যাট মালিকের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দিয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে।

নুসরাত জাহানের বরাত দিয়ে গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল হাসান ফিরোজ বলেন, মুনিয়ার সঙ্গে একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মুনিয়া সেখানে একাই থাকতেন।

মরদেহ উদ্ধারের পর গুলশান থানার পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মুনিয়ার ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে।

আরো পড়ুনঃ