শরৎ মানেই প্রকৃতি, নদীর তীরে কাশফুলের সাদা হাসি
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশের ছয় ঋতু দুই মাস পর পর বদল হয়। আর ঋতু বদলে প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন কাশফুলই জানিয়ে দেয় এর আগমনী বার্তা।
এই ঋতুতে পালকের মতো নরম ও ধবধবে সাদা রঙের কাশফুল ফোটে। কাশফুল দেখতে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
শরতের কাশফুল শিশুদের আনন্দ বয়ে আনে। কাশফুল দেখে শিশুরা আনন্দে উদ্ভাসিত হয়।
শরতের বিকেলে নীল আকাশের নিচে দোল খায় শুভ্র কাশফুল।
শরৎ মানেই প্রকৃতি, শরৎ মানেই নদীর তীরে কাশফুলের সাদা হাসি।
বাংলার প্রকৃতিতে শরতের এই দৃশ্য দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হয়ে যায়।
জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশের মাঠে-ঘাটে কাশফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে পতিত এলাকায় কাশফুল বেশি ফোটে। শরৎকালের নাগরিক কোলাহল আর যান্ত্রিক জীবনের নানা ব্যস্ততার মধ্যে শরতের কাশফুল দেখতে ছুটে আসে অনেক মানুষ। মাতোয়ারা করে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায়।
কাশফুল যখন বাতাসের সঙ্গে দোল খায় কাশফুলগুলোর সৌন্দর্য তখন আরো বেড়ে যায়। মন হারিয়ে যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাছে।
প্রকৃতির দেওয়া এই কাশফুল প্রতিবছর শরৎকালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়। আর কাশফুলের এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে যায়। বিশেষ করে শিশুরা কাশফুলের মধ্যে ছুটে বেড়ায়, খেলা করে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাশফুলের সমারোহ, পালপাড়া গোমতী নদীর পাড়ে,ঢুলীপাড়া কুমিল্লা এয়ারপোর্ট গেলেই দেখতে পাবেন।
বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে।