সদর দক্ষিণে প্রতিবেশীর জমি দখল, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

কুমিল্লার সদর দক্ষিণে জমি দখল, ভাঙচুর, লুটপাট ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার লালবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সৈয়দ ফজলে জাকির (৩৫) এ ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। অভিযোগে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা সংঘবদ্ধভাবে জমি দখল এবং ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে।

অভিযোগে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলার লালবাগ এলাকার আবদুল আলীম (৫০), আলমগীর হোসেন (৪৫), বিল্লাল হোসেন (৩৮), মোবারক হোসেন (৫৫), মোঃ জহির আবদুল আউয়াল (৫২), মোঃ তুহিন (২৮), সৈয়দ আবদুর রাজ্জাক বাদল (৫৫), সৈয়দ সেলিম (৫৮), সৈয়দ মোশারফ হোসেন (২২), মোঃ জহির (৫২), ইদ্রিস মিয়া (৩০), সাদ্দাম সাদী (৩২), এমরান হোসেন (২৫), মোঃ রাসেল মিয়া (৩৫), আক্তার (২৫) ও আদর্শ সদরের চাপাপুর এলাকার কাজী এহসান আহমেদ (৩৩)।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, ২০ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১ টায় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী জাকিরের পৈতৃক জমিতে ঢুকে প্রথমে টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। এতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এরপর তারা ৮টি আমগাছ এবং ৭টি কাঁঠাল গাছ কেটে ফেলে এবং গাছগুলো ভ্যানগাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এতে আনুমানিক লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়।

এছাড়াও, ঘটনার সময় ভুক্তভোগীর মা লায়লা আরজুমান বানু (৫৫) বাধা দিলে অভিযুক্তরা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং ঘরের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপর অভিযুক্তরা ঘরের স্টিলের আলমারি ভেঙে প্রায় ১১ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার, ২ লক্ষ টাকা নগদ এবং গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীর দাবি, জমিটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি এবং এ জমি নিয়ে ইতিপূর্বে আদালতের বিভিন্ন মামলায় রায় তাদের পক্ষেই এসেছে। ২০০৫ সালে কুমিল্লা আদালত জমিটির মালিকানা তাদের পক্ষে ঘোষণা করে এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে হাইকোর্ট একই রায় প্রদান করে।

এদিকে, ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী সৈয়দ ফজলে জাকির বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জমিটি ভোগ দখল করে আসছিলাম। অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধভাবে জমি দখল এবং লুটপাটের মাধ্যমে আমাদের ক্ষতি করেছে। তারা আমার মাকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আমরা সঠিক বিচার চাই।”

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভিযুক্তরা এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। জমি দখল এবং ভাঙচুরের এই ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুনঃ