নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা।
কুমিল্লা লালমাইয়ে আওয়ামীগ-বিএনপি বর্ধিত সভায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপির দুই নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছে ।
শনিবার(২৬ আগস্ট) বিকালে লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির বর্ধিত সভা ও আওয়ামীলীগের শান্তি মিছিল ঘিরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থায়ীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান,লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ঘোষিত বিএপির প্রতিনিধি সভায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা গুলি বর্ষন করেন।এসময় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা উত্তড্ডা গ্রামের মনির হোসেনের মাথায় ও যুবদল নেতা উন্দানিয়া গ্রামের ফিরোজের পায়ে গুলি লাগে। বিএনপির অনেকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি স্থানীয় বিএনপির।
শনিবার বিকালে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মফিজুল ইসলামের উন্দানিয়া গ্রামে গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী জানান, বেলঘর উত্তরে আমাদের একটি প্রতিনিধি সভা ছিল।
বিকেল ৪টার দিকে আমার সেখানে যাবার কথা। এর আগেই শুনি দুপুর ২টা থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন সেখানে মহড়া দিচ্ছে। তারা লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ও সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ারের লোকজন। বাগমারা থেকে তাদের ভাড়া করে আনা হয়। ২টার পর তারা প্রতিনিধি সভায় ভাঙচুর ও গুলি চালায়।
এসময় যুবদল নেতা ফিরোজ ও মনির গুলিবিদ্ধ হন, একজনের মাথায় গুলি লাগে। তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমাদের ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া তাদের লোকজন মফিজুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
আংশঙ্খা জনক অবস্থায় দু’জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।পরে সভাস্থল ভাংচুর ও পরবর্তীতে বাড়ি ঘরেও হামলা চালিয়ে লুটপাট করেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী।
সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার জানান, মনিরুল হক চৌধুরী মনে হয় দিবা স্বপ্ন দেখছেন। তিনি আমাকে কোথায় দেখলেন? বরং গৈয়ারভাঙ্গা-বেলঘর সড়কে মিছিল চলাকালে বিএনপির লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর গুলি করে। এতে আমাদের ৮-৯জন আহত হয়।
এদিকে অভিযোগের বিষয় লালমাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিন মোল্লা বলেন,আমরা বিকেলে শান্তি মিছিল করেছিলাম, বিএনপির নেতাকর্মীরা হঠাৎ আমাদের মিছিলে উপর হঠাৎ গুলি বর্ষণ করেন,এতে আমাদের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এ বিষয় আমরা মামলা করবো।
তবে ওসি মোহাম্মদ হানিফ বলেন,আমরা বিষয়টি শুনছি,তবে একই এলাকায় আওয়ামীলীগ- বিএনপি সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থে পুলিশ গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে। পরিবেশ এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।