কুমিল্লা জেলায় ১৩৩ টাকায় পুলিশের চাকুরী পেলেন ১১২ জন

বিশেষ  প্রতিনিধি।।

চাকরি নয়,সেবা; স্বপ্ন হলো সত্যি এমনি শ্লোগান দিয়ে কুমিল্লা পুলিশ লাইন’স শহীদ আর, আই,এ,বি,এম আব্দুল হালিম মিলনায়তনে ১১২ জন কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ সংক্রান্তে এক ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয় ।

রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম(বার) । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) কাজী আব্দুর রহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডি এস বি) মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, রেজা সারওয়ারসহ কুমিল্লা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পি পি এম (বার) তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি মানুষ যদি তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সৎ হয়ে কাজ করেন তাহলে দেশ আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে। পুলিশ রাস্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। আমার চাকুরির ১৮ বছরে এবছর পুলিশ নিয়োগে ব্যতিক্রম অনেক কিছুই দেখেছি। পুলিশ কনস্টেবল যোগ্য প্রার্থীরাই নিয়োগ পেয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন পুলিশ কনস্টেবলদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যেভাবে নিয়োগ পেয়েছো চাকুরীটাও ঠিক সেভাবে করবে অর্থাৎ ঘোষ ছাড়া চাকরি পেয়েছো আর সৎ ভাবেই চাকুরীটি করবে।

পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য অনুষ্ঠান শুরু হয়। অতিথিদের বক্তব্যের পরেই নিয়োগপ্রাপ্ত নবাগত পুরুষ ও মহিলা চাকুরী পাওয়ার অনুভুতি ব্যক্ত করেন মোহাম্মদ রিয়াদ হোসেন। সে বলেন, আমি হত দরিদ্র পরিবারের একটি ছেলে ছাত্রাবাসে থাকি আমাকে অনেক ভয় দেখিয়ে ছিল।

পুলিশের চাকুরী মানে সোনার হরিণ মেলা টাকা ঘোষ লাগবে কিন্তু আমার এ চাকুরি পেতে খরচ হয়েছে মাত্র ১৩৩ টাকা এসময় অসুস্থ বাবার এক মেয়ে চাকরি পেয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।

এদিকে অনুষ্ঠানে আসা নিয়োগপ্রাপ্তদের অভিভাবকদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করেন কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলা বাগুর এলাকার দিনমজুর শ্রমিক আশরাফুল হোসেন। তার ছেলে রাকির পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়ায় খুশিতে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন এবং বলেন আমি একজন লেবার আমার ছেলে ১৩৩টাকা খরচ করে চাকুরী পেয়েছে এমন খুশির চেয়ে আর বড় কোন খুশিই আমার জীবনে নেই।

উল্লেখ্য যে গত ২ নভেম্বর কুমিল্লা পুলিশ লাইন মাঠে কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য পরীক্ষা শুরু হয় এতে আবেদন করে ৪হাজার ৩ শত চুয়াত্তর জন। শারিরিক যোগ্যতায় বাদ পড়ে লিখিত পরিক্ষায় অংশ নেন ৫শত ৩৬ জন। লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২০৯ জন।

পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হন ১১২ জন, এদের মধ্যে ১০৬ জন পুরুষ ও ৬ জন মহিলা। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সাধারণ কোটায় ৭৬ জন,যার মধ্যে নারী ৪ জন,মুক্তিযুদ্ধ কোটায় ৪,পোষ্য কোটায় পুরুষ -১০,নারী-২ জন,আনসার কোটায় ৭ জন,এতিম-১ জন।

আরো পড়ুনঃ