কুমিল্লা মহানগরীতে জুতা-ব্যাগ দোকানে উৎসবের আমেজ
বিশেষ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও সরব হয়ে উঠছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শেষ সময়ে স্কুলব্যাগ, জুতা ও ড্রেসসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের জন্য অভিভাবকরা ছুটছেন দোকানে দোকানে।জুতা-ব্যাগের দোকানগুলোতে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লার কান্দিরপাড়, চাত্তারখান কমপ্লেক্স, খন্দকার হক টাওয়ার, রাজগঞ্জ,চকবাজার,ছাতিপট্টি ও ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজাসহ বিভিন্ন মার্কেটে জুতা ও স্কুলব্যাগের দোকানগুলোতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছেন। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন তারা।
একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে খোলার ঘোষণায় তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বইছে। নতুন শার্ট-প্যান্ট, জুতা ও স্কুল ব্যাগ কেনাকাটা করতে মার্কেটে ঘুরছেন তারা।
শিক্ষা বিভাগ সূত্র জানায়, কুমিল্লায় দুই হাজার ১০৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুই হাজার ১৭৬টি কিন্ডারগার্টেন, ৬০৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৬২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
কুমিল্লা মর্ডান স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র মাহদী হাসান আরিয়ান মায়ের সঙ্গে নগরীর কান্দিরপাড়ের একটি জুতার শোরুমে এসেছে জুতা কিনতে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় তার জুতা ছোট হয়ে গেছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মাহিদুর রহমান ফাহাদ জুতা ও স্কুলব্যাগ কিনতে মা বাবার সঙ্গে বের হয়েছে। তার পুরোনো জুতা পায়ে লাগছে না।
নগরীর চর্থা এলাকার বাসিন্দা আমির হামজা বলেন, তার ছেলে সাইদুর রহমান ইকরা স্কুল অ্যান্ড মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। স্কুল খুলবে তাই আগ থেকেই ড্রেস বানিয়ে দিয়েছেন।
নিউমার্কেট এলাকার ব্যাগ ব্যবসায়ী মো. আবু মুছা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলব্যাগ বিক্রি হয়নি। ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার ঘোষণার পর থেকে বিক্রি বেড়েছে। আজ ক্রেতার চাপ একটু বেশি ছিল।
কান্দিরপাড় বাটা শোরুমের ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম জানান, এ সময়ে শোরুমে স্কুলের ক্রেতা বেশি। তার মধ্যে পঞ্চম ও দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জুতা বেশি বিক্রি হচ্ছে। ছোটদের জুতা তেমন বিক্রি হচ্ছে না।