কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে মহান স্বাধীনতা দিবস এবং স্বাধীনতা ৫০ বছরের সুবর্ন জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন যথাযথভাবে পালন।।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে মহান স্বাধীনতা দিবস এবং স্বাধীনতা ৫০ বছরের সুবর্ন জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন যথাযথভাবে পালন।
নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় শিক্ষাবোর্ডে মহান স্বাধীনতা দিবসও স্বাধীনতা ৫০ বছরের সুবর্ন জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লার উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচি পালন করা হয়। ভোরে সূর্য্য উদয়ের সাথে সাথে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আবদুস ছালাম নেতৃত্ব জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানসূচির সূচনা করেন। সকাল ৭
টায় সকল কর্র্মকর্তা কর্মচারী বোর্ড আঙ্গিনা থেকে র্যালি সহকারে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে গিয়ে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৮.০০ টায় বোর্ড প্রাঙ্গনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ে বোর্ড ক্যাম্পাসে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার পরিদর্শন করেন।সকাল ৯ টায় এক আলোচনা সভা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃআব্দুস ছালাম । এ সময় বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস ছালাম উপস্থিত সকলে শুভেচ্ছা জানান , ও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন- আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। আজ থেকে ৫০ বছর পূর্বে দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে এই দেশ থেকে দখলমুক্ত সংগ্রামে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন। পাকিস্তানি ঘাতক সেনাবাহিনী ১৯৭১ সাল ২৫ মার্চ কালো রাতে রাজধানী ঢাকায় নৃশংস এক গনহত্যা চালায়।পাকিস্তান হানাদার বাহিনী হামলা শুরুর পরপরই দেশের বীর সন্তানরা বিভিন্ন স্হানে প্রতিরোধ সংগ্রাম ঝাপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্দেশ যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে মুক্তিসংগ্রামে অংশ নেয় এদেশের সাধারন মানুষ। নয় মাস মরনপণ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে অর্জিত হয় চির কাঙ্খিত স্বাধীনতা। আপনারা জানেন এখন মুজিববর্ষ চলছে। আজ স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মহান স্বাধীনতা দিবস গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরন করছি সর্ব কালের সর্ব শ্রষ্ঠ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কে সেই সাথে স্মরণ করছি স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা বোনকে । যাদের আত্মত্যাগের বিনিময় আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা। বাঙ্গালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর ডাকে একটি সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। তিনি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙ্গালি জাতিকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন ভূখন্ড উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জয়বাংলার মূলমন্ত্র সেদিন মুক্তিকামি বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সুতোয় গাঁথা। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। তাঁর নেতৃত্বে দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই রাষ্ট্রীয় সেবা পাচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যেতে হবে। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ, অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্বে করেন শিক্ষাবোর্ডে মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতা ৫০ বছরের সুবর্ন জয়ন্তীর জাতীয় দিবসের
কমিটির আহবায়ক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী। উক্ত অনুষ্ঠানে সঞ্চালন করেন কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো: আবদুল খালেকসহ বোর্ডের সকলস্তরের কর্মকর্তা,কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। বাদ জোহর বোর্ড জামে মসজিদে মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতা ৫০ বছরের সুবর্ন জয়ন্তী জাতীয় দিবস তাঁর পরিবারসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষাবোর্ডে মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতা ৫০ বছরের সুবর্ন জয়ন্তী জাতীয় দিবস উদযাপন যথাযথভাবে পালন করা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতা ৫০ বছরের সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে বোর্ড ক্যাম্পাস মুক্তি যোদ্ধার কর্ণার সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।