চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের নাভি খ্যাত ভারত সীমান্তবর্তী কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) সংসদীয় আসন। ২৭১.৭৩ কিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলার উপর দিয়ে মহাসড়কের ৪৪ কিলোমিটার সড়ক বয়ে গেছে। ভৌগালিক এবং ব্যক্তি ইমেজের কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ আসন। এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ট সহচর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, তুখোড় রাজনীতিবীদ কাজী জহিরুল কাইয়ুম বাচ্চু মিয়া।
পরবর্তীতে এ আসন থেকে নির্বাচন করে এমপি, মন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কাজী জহিরুল কাইয়ুমের সুযোগ্য ভাতিজা, একসময়ের দেশবিখ্যাত শ্রমিক নেতা কাজী জাফর আহমেদ, বর্তমান সংসদ সদস্য, সাবেক রেলপথমন্ত্রী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুল হক এমপি, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, ইফসুর সাবেক মহাসচিব, ডামেকসুর সাবেক জিএস ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের প্রমুখ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) গুরুত্বপূর্ণ এ আসনকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা- কল্পনা আর ভোটের হিসাব।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনের এখনো প্রায় ৩-মাস বাকী থাকলেও ভোটের মাঠে প্রার্থীতা ঘোষনা করে নেমে পড়েছেন বিভিন্ন দলের একাধিক প্রার্থী। একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে ঘটিত এই সংসদীয় আসনটি। এখানে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষের বসবাস।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, এ আসনে নারী/পুরুষ ভোটার সংখ্যা মোট প্রায় ৪ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার প্রাায় ২ লাখ, মহিলা ভোটার ১লক্ষ ৯১হাজার এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৩জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১০৭টি’র অধিক। এসময়ের আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ১৯৭৩ সালের পরবর্তী এ আসনে ৯টি জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ছয়বার, স্বাধীনতার পরে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুইবার, এবং বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী একবার নির্বাচিত হন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) গুরুত্বপূর্ণ এ আসনকে ঘিরে চলছে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের নানাভাবে গণসংযোগ, বিশেষ সুত্রে জানাযায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন আওয়ামীলীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন ভূইয়া সেলিম, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ১৩টি ইউনিয়নের জনগণকে নিয়ে মাঠ চুষে বেড়াচ্ছেন তমিজ উদ্দিন সেলিম, চৌদ্দগ্রামের একজন দিনমজুরি মোঃ আব্দুল খালেক সাংবাদিকদেরকে জানান আমরা শুনতেছি আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন চৌদ্দগ্রামে পরিবর্তন হতে পারে, যদি টিকে পরিবর্তন হয়, তাহলে তমিজ উদ্দিন সেলিম একজন ভালো লোক, যার কোনো লোভ লালসা নেই, ওনার ইচ্ছা চৌদ্দগ্রামের সর্বসাধারণ মানুষের জন্য কিছু একটা করা, আর চৌদ্দগ্রাম ১৩ টি ইউনিয়নকে ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসাবে রুপান্রিত করা, এম তমিজ উদ্দিন ভূইয়া সেলিম দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকাকে জানান, জাতির পিতা বলেছিলেন রাজনীতিক দলের জন্য প্রয়োজন নিঃস্বার্থ রাজনৈতিক কর্মী, আয় – রোজকারহীন, বেকার, দরিদ্র কর্মী লোভ ও দুর্নীতি মুক্ত হতে পারে না, এই যুগে তা সম্ভবও নয়, তাই দলের কর্মীদের সৎ উপার্জন করার জন্য দিক নির্দেশনা দিতে হবে, সহযোগীতা দিতে হবে, এ দায়িত্ব দল ও দলনেতার, স্থানীয় ভাবে তা সেখানকার দলনেতার উপর বর্তায়, অথচ আমরা পাই দল কর্তৃক নেতৃত্ব ও ক্ষমতা পেয়ে নেতা ধনী হয়ে যায়, তার কিছু চামচা ধনী হয়ে যায়, ভাই ভাতিজারা ধনী হয়ে যায়, কর্মীরা দরিদ্রই থেকে যায়, ফলে কর্মহীন, জীবিকাহীন কর্মীরা নানা রকম অসৎপথে উপার্জনের চেষ্টা করে, এতে দল এবং নেতা উভয়েরই বদনাম হয়, কলঙ্কিত কর্মীরা জনতার সামনে দাড়াতে পারেনা, সংগঠন শক্তি হারিয়ে ফেলে, আমরা এই অবস্থার চির অবসান ঘটাতে সংগঠনকে কলঙ্ক মুক্ত করে দলকে আত্মমর্যাদা সম্পূর্ণ সোনার মানুষদের ঠিকানায় পরিণত করতে চাই, ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চৌদ্দগ্রামের মানুষ পরিবর্তন চায়, তাই আমি চৌদ্দগ্রামের অসহায় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে ও চৌদ্দগ্রামের ৫ লক্ষ মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে কাজ করে যাচ্ছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকার টিকিট প্রধান করে, তাহলে এই চৌদ্দগ্রাম একটি স্টুডিয়াম ও ১৩ টি ইউনিয়নকে ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসাবে রুপান্তরিত করবো , তাই সকলের দোয়া কামনা করি।