লাইফস্টাইল ডেস্ক নিউজ।
শীতকাল আসি আসি করছে। এ সময়ে মোজা পরলে অনেকের পায়ে দুর্গন্ধ হয়। কর্মস্থলে পাশে বসে থাকা সহকর্মী আপনার পায়ের দুর্গন্ধে বিরক্ত হতে পারেন। এ কারণে অনেক সময় আপনাকে লজ্জায় পড়তে হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরেও এই সমস্যায় পড়েন কেউ কেউ।
পায়ে থাকা ঘামের সঙ্গে মোজার ব্যাক্টেরিয়া মিশে তৈরি হয় বাজে দুর্গন্ধ। এ ছাড়া কোনো ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে, ডায়াবেটিস কিংবা থাইরয়েডের মতো রোগ থাকলে পায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। ডায়াবেটিস ও কিডনির অসুখ হলে ভিনেগারের মতো গন্ধ বের হয় পা থেকে। চলুন জেনে নিই, কীভাবে এই দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়।
১) ঘামের গন্ধ থেকে বাঁচতে সুতি কাপড়ের মোজা ব্যবহার করুন। সিনথেটিক মোজা পরলে ঘাম বেশি হয়, সমস্যা আরও বাড়ে।
২) ডায়েটে পরিবর্তন আনুন। খুব মশলাদার খাবার বিপাকক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। ঘন ঘন বদহজম হলেও ঘামে বাজে গন্ধ হয়।
৩) চা-কফির নেশা থাকলে এড়িয়ে চলুন। যেকোনো উত্তেজক পানীয় শরীরে হরমোন নির্গমনে সাহায্য করে। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। তাতে স্নায়ু উত্তেজিত হয়ে সহজেই ঘাম হয়।
৪) জুতা মাঝেমাঝে রোদে দিন। এর ভেতরে আলো-বাতাস পৌঁছালে ছত্রাক, ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ কমে। একই মোজা পর পর দু’দিন পরবেন না।
৫) প্রতিদিন সময় করে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। লবণ ছত্রাক দূর করতে সাহায্য করে। ফলে পা ঘামার সমস্যাকে কমিয়ে দেয় অনেকটা। একটু সময়সাপেক্ষ হলেও পা ঘামার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে লবণ-পানি খুব কাজে দেয়।তথ্য সূত্র দেশ টিভির অনলাইন