সন্তানদের বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে শিখান- এমপি বাহার

 

আলমগীর হোসেন।

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম.বাহাউদ্দিন বাহার এমপি- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মানবতার মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করে গেছেন।

তিনি ছিলেন গরীব মানুষের নেতা, বিশ্ব শান্তির বার্তাবাহক। বাঙ্গালী জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি ২৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।

বিশ্বে অনেক বড় বড় দেশ আছে বঙ্গবন্ধুর মতো বড় মানুষ নেই। বঙ্গবন্ধুর দিকে তাকিয়ে বিশ্বের আরেক বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ট্রো বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি।

ব্যক্তিত্ব আর সাহসিকতায় তিনি হিমালয় সমতুল্য। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বকে তিনি হিমালয়ের উচ্চতায় মেপেছিলেন। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গনতন্ত্রমনা শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিকেই জুলিও কুরি পদক দেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধুর এ পদক প্রাপ্তিতে বাঙালি জাতি যেমন গর্বিত হয়েছে, তেমনি বিশ্ববাসীও বঙ্গবন্ধুর মত ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা দিতে পেরে গর্বিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আজ আমরা তার যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও বঙ্গবন্ধুর মতোই মানুষের কল্যানে কাজ করে বিশ্বজুরে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

দেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় কমিউনিটি ক্লিনিক ভিত্তিক মডেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্বকে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এই উদ্যোগকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

এখন যদি জাতিয়সংঘ থেকে কিংবা ইউনেস্কো থেকে অথবা ওয়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন থেকে বিশ্বের কোথাও কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাহায্য করে তাতে নাম লিখা থাকবে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’।

২০৪১ সালের জ্ঞান নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে ধারণ করতে হবে। আপনাদের সন্তানদেরকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা শিখাতে হবে।

জাতির পিতার জুলিও কুরির পদক প্রার্প্তি ৫০ বছর পূর্তিতে আজকের এই দিনে অঙ্গীকার হোক, তুমি যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাস, আমি তোমাকে ভালোবাসব।

রবিার (২৮ মে) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলি ও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা নজরুল ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া। বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার), জেলা পিপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান, ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সাংবাদিক আবুল হাসনাত বাবুল ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ। এসময় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন ।আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ চিত্রাঙ্কন ও কুইজ সহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠান শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে বিশেষ ডাক টিকেট ও খামের মোড়ক উম্মোচন করা হয়।

আরো পড়ুনঃ