ডেস্ক নিউজ।।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রোববার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশনার জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নয়, জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। তবে ঠিক কত তারিখে নির্বাচন হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী নির্বাচনে একদল নয়, সব দলের রেফারি হয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করবে।
এ সময় ইসি সব পক্ষকে নিয়ে ভোটের মাঠে থাকবে বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন এর আগে ডিসেম্বরের শেষদিকে, অথবা পরের বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করার কথা জানিয়েছিল। তবে এবার অনেকটা সুনির্দিষ্টভাবেই নির্বাচন আয়োজনের কথা জানালো সংস্থাটি।
আরপিও সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের সহায়তা নিয়েই আমরা আরপিও সংশোধন বা আইনের সংস্কার শেষ করতে পারব। তবে সরকারের সহায়তা না পেলে আমাদের সর্বশেষ ভরসাস্থল রাষ্ট্রপতি। তখন আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে বলতে পারব, এই জায়গাটায় আটকে আছি আপনি কিছু করেন। তবে রাষ্ট্রপতির বিষয়টি আমরা এখনও চিন্তা করছি না।
তিনি বলেন, ব্যস্ততার জন্য বা বিভিন্ন কারণে হয়ত আরপিও সংশোধনীতে একটু দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। আমার ধারণা, অচিরেই সরকারের তরফ থেকে একটা ফলাফল পাব। আইন সংশোধন হলে আমরা যেটা চেয়েছি হয়ত আমাদের কাজটা আর একটু সহজ হতো। আইনের বিধানেই গাইবান্ধার নির্বাচনটা বন্ধ হয়েছে। আমার মনে হয় না সরকার আইন প্রয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সরকারের সহায়তা নিয়েই আমরা আইনের সংস্কার শেষ করতে পারব। না হলে আমাদের সর্বশেষ ভরসা মহামান্য রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা বলতে পারব এই জায়গায় আটকে আছি আপনি কিছু করেন। সেটা আমরা এখনও চিন্তা করছি না।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের দায়িত্বকাল সাড়ে আট মাস হচ্ছে। সাড়ে আট মাসে কোনও রকম চাপ, অসহযোগিতা আমরা পাইনি। সরকারের কাছ থেকে আমরা সহযোগিতামূলক আচরণ পেয়ে আসছি। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও চাপ অনুভব করছি না। বিরোধী দলকে আমরা কিন্তু সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদের বলছি, আপনারা আপনাদের এক্সপার্টদের নিয়ে আসেন। ইভিএম পরীক্ষা করেন। কিন্তু তারা আসেননি।
সাড়ে আট মাসে আপনাদের প্রতি বিরোধী দলের কি আস্থা বেড়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আনিছুর বলেন, সেটা আপনারা ভালো বলতে পারবেন। আপনাদের সঙ্গে সরকার এবং বিরোধী দল উভয় পক্ষের ইন্টারেকশন বেশি হয়। আমরা সরাসরি বিরোধী পক্ষের কাছে যেতে পারছি না সীমাবদ্ধতার জন্য।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা ১৪৫টি ভোটকেন্দ্র সম্পর্কে তদন্ত করতে বলেছি। একই তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সোমবার তারা কমিশনে রিপোর্ট জমা দেবে। রিপোর্ট দেখে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।সূত্র ঃ কুমিল্লার কাগজ।