প্রকৃতির সৌন্দর্যে ঘেরা গোমতী বিলাস ও নার্সারী

মঈন নাসের খাঁন রাফি। 

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ঘেরা কুমিল্লা গোমতী বিলাস। গোমতী নদীর পাড় ঘেষা এই বিলাসে রয়েছে ভ্রমন পিপাসূদের সময় কাটানোর জন্য বিভিন্ন ব্যাবস্থা। কিডস্ জোন, নৌকা ভ্রমণের সুবিধাসহ রয়েছে সুস্বাদু খাবারের ব্যাবস্থা।

লাইভ কিচেনে তৈরী করা হবে র্অডার করা খাবার যা চাইলেই নিজ চোখে দেখতে পারবেন। গোমীর বাতাস গায়ে লাগিয়ে উপভোগ করতে পারবেন মুখরোচক খাবার। নৌকাতে বসেও খাবারের ব্যাবস্থা রয়েছে।

কুমিল্লা শহর থেকে গোমতী বিলাস যাওয়ার যোগাযোগ ব্যাবস্থা খুবই ভালো। শহর থেকে রিক্সা, সিএনজি অথবা আপনার ব্যাক্তিগত গাড়িতে যেতে পারেন। সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। গোমতী নদীর তীরে বিশাল জায়গা নিয়ে মো: মান্নান কবীর ভূঁইয়া এবং মো: মিজানুর রহমানের পরিচালনায় গড়ে উঠেছে গোমতী বিলাস।

শহরের কোলাহল থেকে খানিকটা সময়ের জন্য হলেও মুক্তি মিলে যেন এখানে এসে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে সময় কাটানোর জন্য খুবই সুন্দর এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রয়েছে।

গোমতী বিলাসে ঠিক পাড় ঘেঁষে রয়েছে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানোর ব্যাবস্থা। গোমতী বিলাসে ডুকতেই চোখে পড়ে গোমতী নার্সারি। যেখানে নানান প্রজাতির গাছের যেনো মেলা বসেছে। চোখ জুড়ানোর দৃষ্টিনন্দন এই জায়গাটি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য খুব পছন্দের জায়গা।

গোমতী বিলাসে ঘুরতে যাওয়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান রজনী বলেন, এখানে এসে ঘুরতে ভালো লাগে। স্কুল ছুটির দিন গুলোতে আমি ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে আশি। এখানে এসে নৌকা ভ্রমন করা যায়। এবং ভালো খাবার পাওয়া যায়।

 

ভ্রমন পিপাসূরা জানান, গোমতী বিলাস অনেক সুন্দর। আমি কয়েকদিন পর পর আশি। কুমিল্লা এতো সুন্দর একটা রিসোর্ট দিয়েছে। আমাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে।

আঁখি আক্তার নামে একজন বলেন, এটা আমার দ্বিতীয় কুমিল্লা ভ্রমন। আমি ঢাকা থেকে এসেছি বন্ধুর বাসায়। বন্ধুর কাছে গোমতী বিলাসের কথা শুনে দেখতে চলে আসলাম। খুব ভালো লেগেছে এসে এখানে। এখানের সব কিছু খুব ভালো।

গোমতী বিলাসের পরিচালক মো: মান্নান কবীর ভূঁইয়া বলেন, পর্যটনের মত একটা কিছু গড়ে তুলেছি। কুমিল্লাতে ঘোড়ার মত তেমন কোন স্পেস নেই। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি কারন কুমিল্লা গোমতী নদীর তীরে সুন্দর কিছু হয় এবং মানুষ যেন ঘুরতে আসে।

আমি সরকার তথা কুমিল্লার অভিভাবক আ.ক.ম বাহা উদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক এর সুদৃষ্টি কামনা করি,যেন বেকার সমস্যা লাঘব এর জন্য লিজ দেয়া হয়,তাতে করে ভূমিদস্যুরা মাটি কেটে পরিবেশ ও গোমতী নদী যেন হুমকি স্বরূপ না হয়, আমি চাই গোমতী নদীকে যেন পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

এখানে সকল প্রকার খাবারের ওয়ার্ডার,  ইভেন্ট ও  অনুষ্ঠানের জন্য  ভাড়া দেয়া হয়।

পরিশেষে বলতে চাই, সকলে আসবেন ভালো লাগবে।

আরো পড়ুনঃ