কুমিল্লা ছাত্রদল কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতা, প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তি!

 

নেকবর হোসেন।

কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের ঘোষিত ওয়ার্ড কমিটিতে ছাত্রলীগ নেতা,মৃত প্রবাসী ও বিবাহিতরা পদ পেয়েছেন। এ অবস্থায় ক্ষুদ্ধ কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন শিবলু।

তারা বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্বিন্যাসের দাবি জানান।ছাত্রদলের নেতারা জানান, চলতি মাসের ১৩ই সেপ্টেম্বর কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের ২৭টি শাখা কমিটি কেন্দ্র থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।এতে ৬০ দিনের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলন, ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এর মধ্যে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ ও ২৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের ৯ জন নেতা পদত্যাগ করেন।জানা গেছে, ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য সচিব হিসেবে মো. আতিকুল হকের নাম আছে।

তিনি কমিটি ঘোষণার একমাস দুইদিন আগে গত ১১ই আগস্ট মারা গেছেন। ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফাহাদুজ্জামান বিবাহিত, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব মো. সাফকাতুজ্জামানের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে মামলা আছে।

১০নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুল হক ও সদস্যসচিব মো. মহসিন বিবাহিত। এছাড়া ২১নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. হাবিবুর রহমান আজাদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত,২২নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব ওমর ফারুক তারেক বিবাহিত,যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম ও সদস্য তানিম হোসেন বিদেশে থাকেন।

একই কমিটির ১ নম্বর সদস্য ওয়ালিদ হোসেন কমিটি ঘোষণার পর ফেসবুকে স্টাটাস দেন।কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, প্রবাসী,মৃত ব্যক্তিও ওয়ার্ড কমিটিতে পদ পেয়েছেন। নাম ধরে ধরে আমরা বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছি।ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ‘বিবাহিতরা ছাত্রদলের কমিটিতে থাকতে পারবেন না। থাকলে অবশ্যই বাদ যাবেন। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাড়া ছাত্রদলে আসতে পারেন যেকেউ।

মৃত ব্যক্তির কমিটিতে থাকার কথা নয়। হয়তো নামের তালিকা নেয়ার পর তিনি মারা গেছেন। প্রবাসী থাকলে তাঁরাও বাদ যাবেন। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।

আরো পড়ুনঃ