কুমিল্লার মেঘনায় ইট দিয়ে হত্যা করা হয় ছোট্ট রিফানকক
পথিকৃত ডেস্ক।।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু রিফানুল ইসলাম ওরফে রিফান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের তিনদিনের মধ্যে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রিফান ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. শরীফুল ইসলামের ছেলে এবং বৈদ্যনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র।
গ্রেফতার হওয়া শাকিল (২২) একই গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ওমরকান্দা ব্রিজ এলাকায় পুরোনো মেঘনা নদী থেকে ওই শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ১০ দিন আগে গত ১২ জানুয়ারি বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়েছিল শিশুটি। সোমবার রাতে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে ঘাতক শাকিলকে গ্রেফতার করে মেঘনা থানা পুলিশ। এরপর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শাকিল পুরো হত্যাকাণ্ডের রহস্য পুলিশকে জানায়।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সেদিন শিশুটির দুষ্টুমিতে বিরক্ত হয়ে তার মুখে ইট নিক্ষেপ করে শাকিল। এতেই মৃত্যু হয় শিশুটির। হত্যার পর সে শিশুটির মরদেহ একটি বস্তায় ভরে। এরপর মরদেহটি লুকিয়ে রাখে ওই গ্রামেই থাকা তাদের একটি অটোরিকশার গ্যারেজে। সেখানে ৭/৮ দিন রাখার পর মরদেহটি থেকে যখন দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে তখন মরদেহটি নিয়ে ফেলে দেয় নদীতে।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবদুল মজিদ বলেন, মামলাটি ছিলো একেবারেই ক্লু-লেস। এরপরও আমাদের সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম স্যারের নেতৃত্বে আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে নিরবিচ্ছিন্ন তদন্ত শুরু করি। তদন্তে প্রযুক্তির সহায়তাও নেওয়া হয়। সর্বশেষ আমরা খুনিকে সনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।