তৌহিদ খন্দকার তপু।। মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়ে উচ্ছাসিত কুমিল্লার ২০৬ জন যুবক-যুবতী। পরিবারের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি দেশের সেবা করতে পারায় পুলিশ বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা। সরকার ও পুলিশ বিভাগের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। জেলা পুলিশ সুপার জানায়, এই পুলিশ সদস্যরাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ভূমিকা রাখবে, কুমিল্লা থেকে সুমন কবিরের রিপোর্ট
ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে কোনো ঘুষ, সুপারিশ ও হয়রানি ছাড়া কুমিল্লা ২০৬ নিয়োগ প্রত্যাশী চাকরি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার( ২৮ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লায় পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ১৮১ জন ছেলে ও ২৫ জন মেয়ে প্রাথমিকভাবে ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স শহীদ আর.আই. এ.বি.এম. আব্দুল হালিম মিনায়তনে কনস্টেবল পদে ২০৬ জন উত্তীর্ণকে বরণ করে নেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ। নিয়োগ প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা পুলিশ বিভাগ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এদের মধ্যে সাধারণ কোটায় ১১২ জন, মুক্তিযুদ্ধ কোটায় ৪০ জন । পোষ্য কোটায় পুরুষ-১৮, নারী-২৫জন, আনসার কোটায় ১১ জন, এতিম-১ জন নিয়োগ পেয়েছেন। যারমধ্যে অধিকাংশ ই অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। কোন ধরনের ঘুষ ছাড়া নিয়োগ পাওয়ায় পুলিশ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সাদুবাদ জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, প্রতিটি মানুষ যদি তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সৎ হয়ে কাজ করেন তাহলে দেশ আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে। স্মার্ট পুলিশ তৈরি করার জন্য ঢাকা পুলিশের হেডকোয়ার্টারে সহযোগিতায় স্বচ্ছভাবে কুমিল্লাতে ২০৬ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। ঘুষ ছাড়া যেহেতু চাকরি হয়েছে সৎ ভাবেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমি মনে করি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারআশফাকুজ্জামান(অপরাধ), কুমিল্লা সদর সার্কেল এসপি কামরান হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিউর রহমান (ডিএসবি) প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা পুলিশ লাইন মাঠে কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য পরীক্ষা শুরু হয় এতে আবেদন করে ৫ হাজার ৮২২ জন। শারিরিক যোগ্যতায় বাদ পড়ে লিখিত পরিক্ষায় অংশ নেন ৪ শত ১৮৭ জন। লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫৭১ জন। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হন ২০৬ জন।