ডেস্ক নিউজ।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে দিনব্যাপী ‘অহিংস’ হরতালের ডাক দিয়েছে সর্বজন বিপ্লবী দল। আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) এ হরতাল পালিত হবে।
গত ১২ আগস্ট দলটি আয়োজিত রোডমার্চ ও পথসভায় এ ঘোষণা দিয়েছিলেন সর্বজন বিপ্লবী দলের প্রধান ম ইনামুল হক। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবিতে ওই রোডমার্চ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এদিকে শেখ হাসিনা পঞ্চদশ সংশোধনীর ‘জাল সংবিধান’ দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না বলেও হরতালের একদিন আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে উল্লেখ করেছেন ম ইনামুল হক। এসময় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে ২২ আগস্ট দেশব্যাপী পূর্ণদিবস অহিংস হরতাল পালনের আহ্বান জানান তিনি।
হরতালের বিষয়ে সর্বজন বিপ্লবী দলের প্রধান লিখেছেন, আমাদের কথা, বাংলাদেশের রাজনীতি দেশের ভেতরে বা বাইরে থেকে কারোর স্বার্থে ‘রিমোট কন্ট্রোল’এ আর নয়। দেশের রাজনীতি হবে জনগণের স্বার্থে, জনগণের ইচ্ছায়। বাংলাদেশ হবে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’। এ দেশে রাজা নেই, তাই কোনো প্রজাও নেই। এ দেশটা কারোর বাপেরও নয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ দেশ সকলের, সর্বজনের। আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া, ডিজিটাল আইন বাতিল ও ‘জাতীয় সরকার’ এর অধীনে ভোটকেন্দ্র দখলমুক্ত, কালো আইন, কালো টাকামুক্ত নির্বাচন করার লক্ষ্যে ১৭ দফা রোড ম্যাপ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি নই, পরাজিতও নই, আমরা দেশপ্রেমিক শক্তি। বাংলাদেশকে এক ব্যক্তির শাসন থেকে মুক্ত করতে আমরা আওয়ামী বিএনপিসহ সব দলের গণতন্ত্রকামীদেরকে আমাদের হরতাল সমর্থন করতে আহ্বান করছি।
প্রসঙ্গত, সর্বজন বিপ্লবী দলের প্রধান বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলীয় প্রচারপত্র বিলি করার সময় দলটির আহ্বায়ক ম ইনামুল হককে মারধর করে কৃষক লীগ কর্মীরা। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আলোচনায় আসে সর্বজন বিপ্লবী দল।তথ্য সূত্র দেশ টিভির অনলাইন