কুমিল্লার কালিরবাজারে সন্ত্রাসী হামলায় বাড়ি ঘর ভাংচুর আহত ৪জন।।
সাব্ববি হোসেন।।
কুমিল্লা সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামে জায়গা সম্পত্তি সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্রকরে সন্ত্রাসী হামলায় ৪জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে কুমিল্লায় হ্সাপাতালে ভর্তি করা হযেছে। ঘটনার অভিযোগে জানাযায়।
গত ১৩ মে বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান ১০ টায় ইব্রাহিম খলিল ও তাহার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ও পূর্ব আক্রোশে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ইব্রাহিম খলিল, আঃ জলিল ও সামাউন ও আতিকুর রহমান গন তাহাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়া আমার বসত বাড়ির সামনে আসিয়া আমার নাম ধরে ডাক চিৎকার করে।
অশ্লীল গালিগাজ করে ও হুমকী ধমকী দেয়। এক পর্যায়ে ইব্রাহিম খলিলসহ তাহার লোকজন আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা করিয়া কুপাইয়া আমার ঘরের দরজা, জানালা ভাংচুর করিয়া অনুমান ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। ইব্রাহিম খলিল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা ধারালো ছেনি দিয়া আমাকে কুপাইয়া খুন করার চেষ্টা করে।
উক্ত ছেনির কুপ আমার হাতে ও আমার মাথায় কুপ পরিলে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম হয় এবং আমার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা নিয়া যায়। আমার ডাক চিৎকারে আমার মা ও আমার দুই বোন আগাইয়া আসিলে সামাউন আমার মাকে পাইপ দিয়া পিটাইয়া আমার মায়ের ডান হাতে কনুইয়ে গুরুত্বর হাড় ভাঙ্গা বেদনা দায়ক জখম করে। অভিযুক্ত হেলেনা ও শারমিন গন আমার বোন তিন্নি, মুন্নিদেরকে মারধর করিয়া জখম করে। ইব্রাহিম, জলিল ও সামাউনগন আমার মা ও বোনদের পড়নে থাকা কাপড় চোপড় টানা হেঁচড়া করিয়া শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
আমাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে। আমাদের অবস্থা গুরুত্বর দেখিয়া কতেক সাক্ষীদের সহায়তায় কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে গিয়া আমার গুরুত্বর জখম, আমার মা ও বোনদেরকে জখমের চিকিৎসা করাই। বর্তমানে আমার মা হাসপাতালে ভর্তি। আমার মায়ের অবস্থা আশংকা জনক। অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিল, আঃ জলিল ও সামাউন ও আতিকুর রহমান গন আমাদেরকে প্রকাশ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ হুমকি ধমকি দেয় যে, আমাদের বাড়ি ঘরে থাকতে দিবে না, আমাদের বাড়ি ঘর জোর পূর্বক দখল করিয়া নিবে।
আমাকে সুযোগ মতো পেলে মারধরসহ খুন জখম করিবে আমাকে খুন করিয়া গুম করিয়া ফেলিবে। অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিল ও তাহার লোকজন আমাদের বাড়ির সামনে অযথা ঘোরাফেরা করছে আমাদেরকে খুন করার হুমকি দেয়। ইব্রাহীম খলিল সন্ত্রাসীদের সাথে কয়েকটি মোটর সাইকেল দিয়ে বাড়িতে মহড়া দেয় আমাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য পুনরায় আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করেন।
আমরা অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিল, আঃ জলিল ও সামাউন ও আতিকুর রহমান গনের অত্যাচারে ও তাহার ক্ষমতার দাপটে অতিষ্ট হয়ে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। ইব্রাহিম খলিল, আঃ জলিল, সামাউন ও আতিকুর রহমান গনের বিচারের জোরালো দাবী ও প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছি। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
গত ১৭ মে কুমিল্লায় সাংবাদিক সম্মেলনে আহত মোঃ ওমর ফারুক বলেন, কুমিল্লা সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আমি ওমর ফারুক, পিতা-মৃত আবদুল মান্নান। আমি পেশায় একজন প্রবাসী। গত কিছু দিন পূর্বে বাংলাদেশে আসি। আমার বসত বাড়ির পাশে বাসিন্দা ও আমার আত্মীয় স্বজন গন আমাদেরকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার অবিচার করিয়া আসিতেছে।
আমার পাশের বাড়ির বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিল পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী হলেও তাহার ক্ষমতার প্রতাপ অনেক বেশী। তাহার ক্ষমতার দাপটে আমরা আজ অসহায়। অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে একই এলাকার বাসিন্দা আঃ জলিল, সামাউন ও আতিকুর রহমান গন আমাদের বাড়ি ঘর জোর পূর্বক অন্যায়ভাবে জবর দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করিয়া আসিতেছে।
তাহাদের সাথে আমাদের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়া মনোমালিন্য ও বিরোধ সৃষ্টি হয়। এদের মধ্যে ইব্রাহিম খলিল খুবই খারাপ প্রকৃতির সে এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে। সে নিজেকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের খুব কাছের লোক বলিয়া দাবী করে। ইব্রাহিম খলিল এমপি ও চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে অত্র এলাকায় প্রভাব খাটায়। মানুষের বাড়ি ঘর দখল করে, মানুষের উপর অত্যাচার করে। এলাকার সাধারণ মানুষ সাহস করে কিছু বলতে পারে না, কেহ প্রতিবাদ করিলে তাহার লোকজন মারধর করে, অপমান অপদস্ত করে।