স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন ব্যবস্থার দরকার। জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক। অনেক প্রতিকূলতার পরও আমরা ধীরে ধীরে সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সেটি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে সারাদেশে পর্যায়ক্রমে ইভিএমে ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার সুযোগ নেই। আগামী ১৬ জানুয়ারি কুমিল্লার চান্দিানাতেও ইভিএমে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।’
শনিবার দুপুরে কুমিল্লা ক্লাবে প্রাঙ্গনে যমুনা ব্যাংকের ১৪৯তম কান্দিরপাড় শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লা আমার জেলা। সঙ্গত কারণে কুমিল্লা আমার প্রিয় শহর। এ শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে প্রতিষ্ঠিত যমুনা ব্যাংকের নতুন শাখা শুধু ব্যবসার জন্য নয়, আত্মমানবতার সেবায়ও কাজ করবে। সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করতে সহযোগিতা করবে। এক সময় মানুষ ব্যাংকে এসে বসে থাকতো, এখন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মানুষের কাছে যেতে হবে বিনিয়োগের সঠিক ক্ষেত্র নির্বাচনের জন্য। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বড় ব্যবসায়ী হিসেবে তৈরি করতে হবে। এই শাখার মাধ্যমে কুমিল্লার টাকা, কুমিল্লাতেই বিনিয়োগ করা হবে।’
যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক মো.আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ।
বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কুমিল্লা শিক্ষিত মানুষের শহর। কুমিল্লার মানুষ হতে পারা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমাদের ভালো কাজের মাধ্যমে সমাজকে ঠিক করতে হবে। আগামী প্রজন্মকে ভালো মানুষ করতে হবে। এজন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। সফল হতে হলে তরুণদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমি সব সময় কুমিল্লাকে গুরুত্ব দেব। কুমিল্লা হবে ক্লিন সিটি। বৃহত্তর কুমিল্লার উন্নয়নের জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘সীমালঙ্ঘন করলে কাউকে ক্ষমা করা হবে না। সমাজে কারও উপর অন্যায়-অত্যাচার করা যাবে না। সকলে মিলে কুমিল্লাকে উন্নত শহরে পরিণত করতে হবে।’
এ সময় এমপি বাহারকে নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘একজন বাহার একদিনে তৈরি হয়নি। অনেক ত্যাগ সংগ্রামে তিনি আজকের বাহার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া, এরশাদরা দেশকে যখন ধ্বংস করছিল, সে সময় দেশে ফিরে আসেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের সেই সময়ও বাহার ভাইরা নেত্রীর পাশে ছিলেন। তিনি অনেক ভালো কাজ করেন। মানুষের ভুল হতেই পারে। তার কোনো ভুল দেখলেই সমালোচনা-লেখালেখি শুরু হয়ে যায়। আমি সকলকে বলবো- মানুষের দোষ না দেখে ভালো কাজগুলো দেখুন। কুমিল্লাকে বাহার ভাইয়ের নেতৃত্বে উন্নত শহরে পরিণত করা হবে।’